নাটোরে মাছের দামে সন্তুষ্ট মৎস্য চাষিরা


নাটোর প্রতিনিধি: খাল বিল জলাশয়ে পানি কমে আসায় নাটোরের পাইকারি বাজারে কমেছে দেশি মাছের সরবরাহ। তাই বাড়তি চাহিদা পুঁজি করে বাড়ানো হয়েছে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা মাছের দাম। ফলে কিছুদিন আগেও আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় থাকা মাছ চাষিরা মাছের দামে খুশি।
ভোর থেকেই তাজা মাছ বিক্রির হাঁকডাকে সরব হয়ে ওঠে নাটোরের মাছের পাইকারি বাজারগুলো। কিন্তু বেশির ভাগ বাজারে প্রাকৃতিক উৎসের মাছের সরবরাহ কমায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা মাছের সরবরাহ বেশি। বাড়তি চাহিদা থাকায় প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে চাষ করা সব ধরনের মাছের দাম।
এ বাজারে প্রতি কেজি সিলভার কার্প ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, রুই ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাশ চাষের ১০০ থেকে ১১৫ টাকা, কাতলা ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, মৃগেল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং টেংরা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দুই সপ্তাহ আগেও এসব মাছ প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে। ফলে ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই এখন বাজারে মাছের সরবরাহ বাড়িয়েছেন চাষিরা। তবে মাছের খাবারের দাম বাড়ায় এখনো দুশ্চিন্তায় চাষিরা।
তারা জানিয়েছেন, যদি দাম এমন না থাকে, সেক্ষেত্রে মৎস্য চাষিদের জন্য বেশ কষ্টকর হয়ে উঠবে। মাছের সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম একটু বেশি পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে মাছের দাম ভালো। দাম এমন থাকলে লাভবান হওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
এ দিকে শিগগিরই বিল ও নদী-খালের মাছ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে ফলে দাম আরও বাড়বে বলেই দাবি আড়তদারদের। তারা জানিয়েছেন, সবকিছুর খরচ বেশি। তেলের দামও বেশি। এর কারণে মাছের দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নাটোরে প্রতি বছর মাছের চাহিদা প্রায় ৪৫ হাজার মেট্রিক টন। যদিও চলতি বছর উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৬৩ হাজার মেট্রিক টন মাছ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.