নাটোরে ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত শপিংমলে শীতবস্ত্র কিনতে ক্রেতাদের ভিড়


নাটোর প্রতিনিধি: উত্তরের জেলা নাটোরে হঠাৎ করে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। শীতের সঙ্গে সঙ্গে শহরের ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত শপিং মলে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। শহরের রোজী মার্কেট, ছায়াবানী হল মার্কেট, মসজিদ মার্কেট, উত্তারা সুপার মার্কেট, সাদেক কমপ্লেক্রসহ বিভিন্ন শীত কাপড়ের দোকানগুলোতে ব্যাপক ভিড় চোখে পড়েছে। শুধু নিম্নবিত্ত নয় মধ্যবিত্ত ক্রেতারাও ঝুঁকছেন এসব দোকানে।
বিক্রেতারা জানান, শীতের কাপড়ের মধ্যে জ্যাকেট, সোয়েটার, চাঁদর, লং কোর্ট, মাফলার, হাত মোজা ও পা মোজা বিক্রি করেন তারা। ক্রেতাদেরও চাহিদা রয়েছে এসবে। দাম, মান আর দোকানভেদে বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় পাওয়া যাচ্ছে।দোকানগুলোতে। বিশেষ করে ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলোতে এসব কাপড় বিক্রি হচ্ছে খুব বেশি।
ফুটপাতে সর্বনিম্ন ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে হরেক রকমের গরম পোশাক। উলের তৈরি সোয়েটার, চাদরের সঙ্গে এসেছে শিশুদের জিন্সের ফ্রক, স্কার্ট, উলের পোশাক, বেবি কিপার, রেকসিনের জ্যাকেট, ওভারকোট, কার্ডিগান, ব্লেজার, ছোটদের গরম কাপড়ের সেট, টুপিসহ আরও অনেক ধরনের পোশাক। লেপ-কম্বলের পাশাপাশি শীতের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে নতুন অনুষঙ্গ হিসেবে এবার ভালো বিক্রি হচ্ছে কমফোর্টার।
গতকাল বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে শহরের ছায়াবানী মার্কেট এর নিউ আলিফ গার্মেন্টেসের মালিক আলী হামজা বলেন, নাটোরে বেশ কদর রয়েছে কমফোর্টারের। ফ্যামিলি সাউজের একটি কমফোর্টার বিক্রি হচ্ছে ২০০০ ও ২৫০০ টাকা দরে।
এদিকে তীব্র শীতে বেশি সমস্যায় পড়েছেন, ছিন্নমূল, শিশু, বৃদ্ধ ও ছিন্নমূল মানুষ। প্রচ- শীতের কবলে অনেকেই ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না। এছাড়া শীত নিবারণের চেষ্টায় এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকান,রাস্তার পাশে আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে নিæ আয়ের মানুষগুলোকে দেখা গেছে।
শিউলী খাতুন নামের এক ক্রেতা বলেন, লেপ, কাঁথা,কম্বল পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের ঝামেলার কারণে এ বছর কমফোর্টার কিনেছি। ব্যবহার সহজ ও দামেও কম। ফ্যামিলি সাউজের একটি কমফোর্টার ২৫০০ টাকায় কিনেছি।
মসজিদ মার্কেট ফুটপাতে শীত বস্ত্র বিক্রেতা রুবেল হোসেন বলেন, আমরা স্বল্প সময়ের জন্য ফুটপাতে শীতের পোশাক বিক্রি করি। এবছর দেরীতে আসায় বেচা-বিক্রি কমছিল। হঠাৎ শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় কাপড় বিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.