নাটোরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর সাত শিক্ষকের কাছে ৪০ লাখ টাকা দাবির অভিযোগ

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী দিয়ার নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদ হোসেন আকবরের বিরুদ্ধে এমপিও হওয়ার পর বেতন চালু হওয়ায় সাত শিক্ষকের কাছে ৪০ লাখ টাকা দাবি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) নুর আহমেদ মাসুম তদন্ত শুরু করেছেন। বিদ্যালয়টির ঋণ থাকায় ৪০ লাখ টাকা দাবি করেছেন বলে দাবী করেন প্রধান শিক্ষক।
অপরদিকে স্কুল কমিটির সভাপতি দুলাল সরকার বলছেন, বিদ্যালয়ের কোনো ঋণ নেই।
ছাতনী দিয়ার নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কুলছুম খাতুন ও মাহবুল আলম জানান, ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ১৯ বছর ধরে এই সাত শিক্ষক বিনা বেতনে পাঠদান করে আসছেন।
নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী দিয়ার নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় চলতি বছরের ৬ জুলাই এমপিও ঘোষণা হয়। বিদ্যালয়ে কর্মরত সাত শিক্ষকের বেতন চালু হওয়ায় ৪০ লাখ টাকা দাবি করেন প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষক খালেদ হোসেন আকবর। টাকা দিতে অস্বীকার করায় সাত শিক্ষককে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষকের দাবি করা টাকা তাদের পক্ষে কোনোভাবেই দেয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ২২৬ জন ছাত্রী লেখাপড়া করছে।
এ পরিস্থিতিতে নিজেদের চাকরি বাঁচাতে ১৮ অক্টোবর জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
প্রধান শিক্ষক খালেদ হোসেন আকবর জানান, জমিদাতাদের টাকা দেয়াসহ বিভিন্ন খাতে বিদ্যালয়ের ৪০ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। এ ঋণ পরিশোধ করতে টাকা চাওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, প্রধান শিক্ষকের ঋণের দাবি সঠিক নয়। জমিদাতারা কোনো ধরনের অর্থ দাবি করেননি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) নুর আহমেদ মাসুম বিটিসি নিউজকে জানান, খুব শিগগিরই তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসককে তদন্ত প্রতিবেদন দেবেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.