নাটোরে পাঁচ বছর ধরে মেয়রের সম্মানী ভাতা পান দরিদ্র অসহায়রা

নাটোর প্রতিনিধি: দুইশো বছরের প্রাচীন নাটোর পৌরসভার প্রথম নারী মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি উমা চৌধুরী জলি অসহায় গরীব এবং সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যতিক্রমধর্মী একটি উদ্যোগ নিয়ে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন।
মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে গত পাঁচ বছরে সম্মানীর সকল টাকা বিতরণ করে আসছেন গরীব অসহায়সহ সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের। শুধু তাই নয় সম্মানীর ভাতার বাইরে ব্যক্তিগত অর্থায়নে পৌরসভার ৯ টি ওর্য়াডের দুই শতাধিক নারীকে সেলাই মেশিন উপহার দিয়েছেন। মেয়রের দেয়া সেলাই মেশিনে সেলাইয়ের কাজ করে আজ অনেক নারী স্বাবলম্বী । এছাড়া গরীব অসহায়দের চিকিৎসা, কন্যাদায়গ্রস্ত বাবা মায়ের মেয়ের বিয়ে, অদম্য মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার খরচ,শীতবস্ত্র বিতরণ,ঈদ-পূজাপার্বনে নতুন জামা কাপড় উপহার, ঈমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী,প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার প্রদান সহ করোনার দুটি লকডাউনে বিপুল পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে প্রশংসিত হয়েছেন।
এছাড়া ঈদকে সামনে রেখে জাতির শ্রেষ্ট সন্তান মুক্তিযোদ্ধা থেকে শুরু করে কর্মহীন দিনমজুর পরিবার, কুলি শ্রমিক , তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ঈদ উপহার তুলে দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার তৃতীয় লিঙ্গের অর্ধ শতাধিক মানুষদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেন মেয়র উমা চৌধুরী জলি প্রতি মাসে সম্মানী হিসেবে প্রাপ্ত টাকার সাথে ব্যক্তিগত অর্থ যোগ দিয়ে বিপুল সংখ্যক সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে সাহায্য – সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তিনি।
নাটোরের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জানান, নাটোরের অবিসাংবাদিত নেতা ,বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ,সাবেক সংসদ সদস্য স্বর্গীয় শংকর গোবিন্দ চৌধুরী ছিলেন জমিদার পরিবারের সন্তান। তিনি অজীবন নিজের পকেটের টাকা দিয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা আজকে নাটোর পৌরসভার মেয়র। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনিও গত ৫ বছর ধরে সম্মানী ভাতার পুরোটা দুস্থ ও অসহায় মানুষের কল্যাণে ব্যয় করে থাকেন। তিনি মেয়র হিসেবে যে ভাতা পান, তা নিজের প্রয়োজনে ব্যয় না করে অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করেন।
শহরের ঝাউতলা মোড়ের রাশিদা বেগম ,রোকেয়া বেগম,স্বামী পরিত্যক্তা সালমা জানান, মেয়র দিদির দেয়া সেলাই মেশিনে কাপড় সেলাই করে তারা আজ স্বাবলম্বী হয়েছে। সংসারে স্বচ্ছলতা এসেছে।
তৃতীয় লিঙ্গের কনা ,বাদলি, সোহাগী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের মেয়র জলিদি সব সময় আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করেন। প্রতি ঈদে চান্দে আমাদের ঈদ উপহার দেন।
নাটোর পৌরসভার কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন বলেন, জনপ্রতিনিধি সর্ম্পকে অনেকে মানুষের নেতিবাচক ধারণা আছে। কিন্তু ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে উমা চৌধুরী জলি একজন ব্যতিক্রম জনপ্রতিনিধি। ভাতার টাকা তিনি নিজের প্রয়োজনে খরচ করতে পারতেন। তিনি সেটা না করে সম্মানী ভাতার পুরোটায় দুস্থ ও অসহায় মানুষের কল্যাণে বিলিয়ে দেন। এটা একজন জনপ্রতিনিধির মানবসেবা ও মহত্তে¦র বড় উদাহরণ।
তেবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধান জানান, মেয়র উমা চৌধুরী জলি জমিদার পরিবারের সন্তান। বাবা শংকর গোবিন্দ চৌধুরী অমৃত্যু নাটোরবাসীর কল্যাণে কাজ করে গেছেন। দলমত- ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য তাঁর দরজা সব সময় খোলা। রক্তেই আছে মানুষের কল্যাণে সাধ্যের সবটুকু উজাড় করে দেওয়ার মানসিকতা। যোগ্য বাবার সুযোগ্য কন্যা তিনি।
মেয়র উমা চৌধুরী জলি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, প্রতিমাসের সম্মানী ভাতার টাকা তিনি ৯ টি ওয়ার্ডের গরীব ও অসহায় মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেন। যতদিন মেয়রের দায়িত্বে থাকবেন ,ততই দিনই এ ধারা অব্যাহত রাখার আশা করেন তিনি।
নাটোর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চুন্নু বলেন, মেয়র দিদি মহানুভবতা ও উদারতার জন্য পৌরসভার একজন বাসিন্দা হিসেবে গর্ববোধ করি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.