নাটোরে দেড় বিঘা জমিতে বরই চাষ, লাভ হতে পারে ৮ লাখ টাকা


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে ২৩৪ হেক্টর জমিতে সরেজমিনে নাটোর সদর উপজেলার চাঁদপুর এলাকায় দেখা গেছে, রুবিনা খাতুন নামে এক নারী বরইয়ের চাষাবাদ করেছেন। গত বছর লাগানো গাছগুলো থেকে ইতোমধ্যেই বরই বিক্রি শুরু হয়েছে।
জানতে চাইলে রুবিনা খাতুন বিটিসি নিউজকে জানান, গত বছর তিনি দেড় বিঘা জমিতে টক বরই চাষ করেন। এ বছর শুরুতে প্রতি মণ বরই বিক্রি করেন দুই হাজার ৮০০ টাকা দরে। বর্তমানে দুই হাজার ৩০০ টাকা দরে প্রতি মণ বরই বিক্রি করছেন। এ পর্যন্ত ৭০০ গাছ থেকে ৪৯ মণ বরই বিক্রি করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে যা বরই বিক্রি করেছেন এতে তার খরচ প্রায় উঠে গেছে।
আরও দুই তিন বছর ওই বাগানের বরই বিক্রি করতে পারবেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘বরই বিক্রি শেষে ওই বাগান থেকে সাত-আট লাখ টাকা লাভ হবে।
নাটোর জেলায় বরই বিক্রির সবচেয়ে বড় আড়ত বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া বাজার। জানতে চাইলে ওই বাজারের জনতা ফল ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল আলম মিঠু বলেন, ওই এলাকায় আমার মতো আরও ১০ জনের আড়ত আছে। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চাষিরা বরই এনে বিক্রি করেন। এ আড়তে বাউকুল, চায়না, বন সুন্দরী, নারকেল কুল, আপেল কুল ও কাশ্মীরি জাতীয় কুল বিক্রি হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে বাউকুল ৭০০-১৪০০, চায়না কুল ৬০০-৮০০, বন সুন্দরী ১২০০-১৫০০, নারকেল কুল ৪০০০-৪৫০০, থাই কুল ৩৫০০-৪০০০, টক কুল ১০০০-৩৫০০ এবং কাশ্মীরি কুল ২০০০-৩০০০ টাকায় মণ বিক্রি হচ্ছে।’ বরইয়ের চাষ হয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব বরই যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
শীতকালীন এ ফল চাষে একদিকে যেমন লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। অন্যদিকে, এই ব্যবসা সচল রাখছে অনেকের পরিবারের চাকা। আবার ফলটি থেকে মিটছে সাধারণ মানুষের পুষ্টির চাহিদা।
নাটোর জেলা কৃষি সম্প্র সারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মাহমুদুল ফারুক বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘চলতি মৌসুমে নাটোরে ২৩৪ হেক্টর জমিতে বরই চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫০, নলডাঙ্গায় ৬, সিংড়ায় ৩৫, গুরুদাসপুরে ৪০, বড়াইগ্রামে ২৬, লালপুরে ৭৫ এবং বাগাতিপাড়া উপজেলায় ২ হেক্টর জমিতে ফলটির আবাদ হয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.