নাটোরে দশম শ্রেণীর ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার: আটক-৫, পলাতক-৩

বিশেষ প্রতিনিধি: নাটোরে আট জন নরপশু মিলে দশম শ্রেণীর এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পাঁচজনকে আটক করেছে নাটোর থানা পুলিশ। অপর তিনজন পলাতক রয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ওই ছাত্রীর বাবা আট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নাটোর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও মামলা সূত্র থেকে জানা গেছে, নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম মাধনগর গ্রামের দিনমজুরকন্যা এক মাদরাসাছাত্রীকে বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে মাদরাসা থেকে ফিরে নতুন পোশাকের জন্য মায়ের সাথে বায়না ধরে। মা নতুন পোশাক দিতে পারবে না জানালে তার সাথে বির্তকের এক পর্যায়ে সে নাটোর সদরের আগদিঘা গ্রামে নানীর বাড়ি যাবে বলে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়।
পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে এ সময় তার সাথে নানা বাড়ি এলাকার মাঝদিঘা পূর্বপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে শহিদুল ইসলাম মেয়েটিকে নিয়ে সন্দেহজনক ভাবে এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে থাকে। বিষয়টি এলাকার অনেকের নজরে আসে।
এ সময় স্থানীয় ছাতনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি দুলাল সরকার স্থানীয় ইউপি সদস্য মহসিন আলীকে মেয়েটিকে উদ্ধার করার জন্য বলেন। পরে অনেক খোঁজা খুঁজি করেও তাদের আর পাওয়া যায়নি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে পুলিশের নজরে আনে এলাকাবাসী।
এরপরে যৌথ অভিযানে নামে নাটোর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ। রাত আনুমানিক ২ টা ৩০ ঘটিকার দিকে ভাটপাড়া শ্মশানঘাটের মাঝামাঝি এলাকায় জহির মন্ডলের লেবু বাগানে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্তরা সবাই মিলে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এসময় ০৮ জনের মধ্যে যথাক্রমে, মাঝদিঘা পূর্বপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৪), ছাতনী দিয়ারপাড়া গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮), মোকছেদ আলীর ছেলে কাজল (২৫), জলিল মন্ডলের ছেলে মো: আমিনুর (৪৫), মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে আস্তুল হোসেন (৩৮) নামের ০৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়াও একই গ্রামের অভি মন্ডলের ছেলে লিটন (২৩), মিনু শেখের ছেলে নয়ন শেখ (২৫) ও দিলদার হোসেনের ছেলে রাজু (২৫) ওই সময় রাতের আঁধারে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা শুক্রবার দুপুর ০২-টা ৩০ ঘটিকায় তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রাতেই অভিযান পরিচালনা করে গনধর্ষণকারীদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে ও ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ধর্ষণকারীদের মধ্যে এখনও তিনজন পলাতক রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, পলাতক ওই তিন অভিযুক্তকে দ্রুত আটকের সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ছাত্রীটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.