নাটোরে জোর কদমে চলছে শারদীয় দূর্গোৎসবের প্রস্তুতি


নাটোর প্রতিনিধি: আর মাত্র ক’দিন পরই শান্তির বার্তা নিয়ে মর্ত্যালোকে আসছেন দেবি দূর্গা। এ উপলক্ষে নাটোরের
মন্দিরে মন্দির চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। দম ফেলার সময় নেই প্রতিমা শিল্পী ও কারিগরদের।

প্রতিমার মাটির কাজ প্রায় শেষে চলছে রং তুলির আঁচর। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে এবছর সমস্যায় পড়ছে কারীগরা ও রং ,মাটি সহ প্রতিমা তৈরীর জিনিসের দাম বেশি হওয়ায় লাভের পরিমান কম হওয়ার আশংকা করছে কারিগরা। এবার জেলায় ৩৪৮ টি পূজা মন্ডপে সুষ্ঠ ও শান্তি পূর্ণভাবে পুজা উদযাপন হবে।

এবার দেবী দূর্গা আসছেন দৌলায় চড়ে আর যাবেন হাতি চড়ে। আর মাত্র ক’দিন পরই বোধনের মধ্য দিয়ে মন্দিরে স্থাপিত হবেন দূর্গা প্রতিমা। শুরু হবে শারদীয় দূর্গোৎসব। তাই সামান্য অবসর নেই এখন প্রতিমা শিল্পী আর কারিগরদের। দিন রাত অবিরাম কাজ করে চলেছেন তারা। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এ কাজে সহযোগিতা করছেন। দূর্গাপুজাকে সামনে রেখে প্রতিমার মাটির কাজ শেষে রঙ তুলির আঁচরে প্রতিমাগুলো জীবন্ত করে তুলছেন তারা। এসব প্রতিমার জেলার ভিতরে ও আশেপাশে জেলাগুলোতে যাবে।

এখানকার এক একটি প্রতিমার মূল্য ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪০ হাজার টাকা পর্য়ন্ত। তবে ২০ থেকে ৩০ হাজারের বেশি দূগার বিক্রয় হচ্ছে। দেবি দূর্গার কাছে সকল অশুভ শক্তি বিনাশ করে শান্তি কামনা করেছেন ভক্তরা।

প্রতিমা শিল্পী প্রদীপ কুমার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, প্রতিবছরই নাটোরে সার্বজনীনভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন করা হয়। সকল ধর্মের মানুষের অংশগ্রহনে এ ঊৎসব প্রাণের উৎসবে রুপ নেয় তবে এবার করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের অর্থিক অবস্থা ভালো নেই। সরকারী বিধি নিষেধের মধ্যে পূজা উৎযাপন হবে।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, দূর্গা পূজাকে শান্তিপূর্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিমা তৈরী থেকে প্রতিমা বিসর্জ্জন পর্যন্ত এ ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। এবছর দেবী দুর্গা দৈালায় আগমন আবার প্রস্থানও করবেন হাতিয় চড়ে। ধর্মীয় রীতি অনুসারে দেবীর এ আগমন ও প্রস্থান কল্যাণ কর নয়। তবু ভক্ত হৃদয়ের আরাধনায় সব অকল্যাণ দূর করে আনবে শুভ বার্তা- এমনটাই মনে করছেন ভক্তরা।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.