নাটোরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে জখম

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইসহ ৩জনকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা ও বসতবাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার নামো হাটদোল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, একই এলাকার মৃত হুজুর আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (৪০), কামরুলে ছেলে আলিফ (১৮) ও তার ভাই দেলোয়ার হোসেন (৪৫)। এই ঘটনার পর অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘিদিন ধরে বাগাতিপাড়া উপজেলার নামো হাটদোল গ্রামের মৃত সুরত আলীর ছেলে মামুন ও গোলাম মোস্তফার সাথে চাচাতো ভাই কামরুল ইসলাম ও তার ভাইদের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উভয় পরিবারের মধ্যে পুনরায় বাক বিতন্ডা হয়। এরই এক পর্যায়ে মামুন ও গোলাম মোস্তফা সহযোগীদের নিয়ে ভাই কামরুল ইসলামের বাড়ী ভাংচুর করে। কামরুল বাধা দিলে তাকে সাবল দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে প্রতিপক্ষরা। এসময় তাকে বাঁচাতে এলে তার ছেলে আলিফ ও ভাই দেলোয়ারের উপর চড়াও হয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
পরে স্থানীয়রা ও পরিবারের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, আমাদের বসতবাড়ী অবৈধভাবে দখলে নিতে তারা এমন হামলা বারবার চালাচ্ছে। আমি অসহায় ও দরিদ্র মানুষ হওয়া দীর্ঘদিন ধরে আমার ও আমার ভাইদের উপর চালানো অত্যাচারের কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। প্রতিকারের আশায় যেখানেই যাই, সবাই টাকা চায়। আমি গরীব মানুষ। টাকা কোথায় পাব। আমার মামলা চালোনোরই টাকা নাই। এই অবস্থায় উচ্ছেদ আতঙ্কে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আতঙ্কে আছি। আমি এর সুষ্ঠ প্রতিকার চাই।
এ বিষয়ে গোলাম মোস্তফা ছেলে শাকিল বিটিসি নিউজকে জানান, আমরা হামলা করিনি। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে আমার বাবা গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। এ বিষয়ে আমরা রাতেই থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এছাড়া বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি।
বাগাতিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শফিউল আজম খান বিটিসি নিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা নিয়ে ভাই-ভাইদের মধ্যে বিরোধ চলছে। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত অব্যাহত আছে। তদন্তশেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.