নাটোরে কর্মসৃজন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

নাটোরপ্রতিনিধি: নাটোরের লালপুর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কারের  হতদরিদ্রদের জন্য ৪০দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নেশুরু হওয়া দ্বিতীয় ধাপে ৪০ দিনের এই কর্মসূচিতে দরিদ্র শ্রমিকের স্থানের স্বচ্ছল ব্যাক্তির নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

যার ফলে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য এখনো বাস্তÍবায়িত হচ্ছেনা। যে সকল শ্রমিকের নাম প্রকল্পের তালিকাভুক্ত রয়েছে তাদের অধিকাংশই জানেনা তাদের নাম কর্মসৃজন প্রকল্পে রয়েছে। এছাড়াও যাদের নাম রয়েছে তার অধিকাংশ শ্রমিকরাই কাজেনা এসে প্রকল্পের টাকা উত্তলন করছে বলে ও অভিযোগ রয়েছে।

কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজের তদারকি করার জন্য ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হলেওমাঠ পর্যায়ে তারা দায়িত্ব পালন করছেনা বলেও অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে সরকারের উন্নয়ন মুখী কার্যক্রম ভেস্তে যাচ্ছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছে।কর্মসৃজন কর্মসূচির নীতিমালা অনুযায়ী গ্রাম-গঞ্জের কর্মক্ষম বেকার, গরীব ও দুস্থ পরিবারের অর্থ-সামাজিকউন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার প্রকল্প চালু করলেও এ উপজেলায় তা পুরোপরি বাস্তবায়ন হচ্ছেনা।

সম্প্রতি উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নে রদিয়াড় পাড়া গ্রামের হুজুক আলীর বাড়ি থেকে একটি গ্রামীন রাস্তা সংস্কারের কাজ ও আমজামতলা গ্রামীন রাস্তা সংস্কারের একটি প্রকল্পে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রকল্পের তালিকায় নাম রয়েছে ৩৫ জন শ্রমিকের কিন্তু উপস্থিত রয়েছে ২০ জন।

জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, যে সকল শ্রমিকের নাম খাতায় রয়েছে তার বেশির ভাগ কাজে আসেনা। কাজেনাএসে তারাতার এমনিতেই প্রতিদিনের হাজিরার ২০০ টাকা উত্তলন করেন। তারা আরো বলেন,নামসর্বস্ব প্রকল্প দেখিয়ে শ্রমিকের টাকা উত্তোলন করে সংশ্লিষ্টরা পকেটস্থ করছেন।

প্রকল্পের সভাপতি ও জন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে এই সকল প্রকল্পের নাম তালিকা ভুক্ত করতে হয়। উপজেলার প্রায় ইউনিয়ন গলিতেই চলছে একই অবস্থা। দরিদ্রের জন্য আসা প্রকল্পের টাকা এখন ক্ষমতা সিনদের পকেটে ! #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.