নাটোরে এন এস কলেজে যৌন হয়রানি প্রমাণে তলব নিয়ে সাংবাদিকদের ক্ষোভ

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা সরকারী কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান কর্তৃক এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হয়েছেন নাটোরের ৪ সাংবাদিক। কলেজ প্রশাসন কর্তৃক ভিকটিম ছাত্রীকে খুঁজে বের করা ও দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরিবর্তে প্রকাশিত সংবাদ প্রমাণে তথ্য ও প্রমাণ প্রদানের আহ্বান সম্বলিত চিঠি প্রদানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তারা। সেই সাথে এখনও কেন শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট বিভাগে অনুসন্ধান করে ভিকটিমকে সনাক্ত করেনি তা জানতে চাওয়া হয়।

আজ বৃহষ্পতিবার (১৮ই এপ্রিল) বেলা ১২টায় নাটোর নিউজ পেপার রিপোটার্স এসোসিয়েশন সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টোয়েন্টিফোর প্রতিনিধি নাসিম উদ্দীন নাসিমের নেতৃত্বে একুশে টেলিভশন ও দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি নবীউর রহমান পিপলু, সময় টেলিভিশন ও আমাদের সময়ের প্রতিনিধি আল মামুন ও জাগোনাটোর ২৪.কম সম্পাদক নাইমুর রহমান হাজির হন তদন্ত কমিটির নিকট।সভায় বক্তব্যের শুরুতে নিউজ পেপার রিপোটার্স এসোসিয়েশন সভাপতি নাসিম উদ্দীন নাসিম বলেন, সাংবাদিকের প্রতিবেদনের সত্যতা প্রমাণে উচ্চ আদালত নির্দেশ দিলে তথ্য প্রমাণাদি নিয়ে হাজির হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ কলেজ কর্তৃপক্ষ এভাবে তথ্য-প্রমাণ চাওয়ার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে যা নজিরবিহীন। জবাবে উপাধ্যক্ষ ও তদন্ত কমিটির প্রধান আব্দুল মোত্তালেব সংবাদের প্রমানাদি চাওয়াটা দুঃখজনক মন্তব্য করে ক্ষমা চান।সাংবাদিকরা প্রশ্ন রাখেন, প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাংবাদিকদের তলব করা হয় অথচ প্রতিবেদন প্রকাশের আগে উপস্থিত সাংবাদিকরা বক্তব্য চেয়ে একাধিকবার ফোন ও ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও অভিযুক্ত শিক্ষকদের বক্তব্য পাননি। জবাবে উপাধ্যক্ষ ও তদন্ত কমিটির প্রধান ‘শিক্ষকরা নার্ভাস ছিলেন’ বলে সাড়া দিতে পারেননি, জানান।

সংবাদ মিথ্য প্রমাণে ছাত্রীদের স্বাক্ষর আদায়ের প্রসঙ্গ তোলা হলে উপাধ্যক্ষ ও তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার খাতা স্বাক্ষরের জন্য ছাত্রীদের নিকট থেকে স্বাক্ষর নেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জেবুন্নেসা। সংবাদ মিথ্যা প্রমাণেই স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে, জোর দিয়ে সাংবাদিকরা একথা জানালে বিষয়টি এড়িয়ে যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এর আগে তদস্ত কমিটির নিকট এলেও সাংবাদিকদের দেখে সড়ে পড়েন শিক্ষিকা জেবুন্নেসা।সাংবাদিকরা এসময় অভিযুক্ত শিক্ষক কাজী ইসমাইলের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান। তবে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি কোন মন্তব্য করেনি।পরে অধ্যক্ষ প্রফেসর সামসুজ্জামানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ছুটিতে থাকা কাজী ইসমাইল সপ্তাহখানেকের মধ্যে কাজে যোগ দেবেন।

এ সময় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সদস্য অধ্যাপক গোলাম মওলা খান, ড. কলিম উল্লাহ, রবিউল ইসলাম, কিশোর কুমার মহন্ত, জান্নাতুল ফেরদৌস ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এম এ তৌফিক উপস্থিত ছিলেন।আনুষ্ঠানিক সভা শেষে উপাধ্যক্ষ ও তদন্ত কমিটির প্রধান আব্দুল মোত্তালেব সাংবাদিকদের জানান, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.