নাটোরে আ’লীগ নেতার ভাতিজা মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল!


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতার ভাতিজা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জামিউল ইসলাম জীবনের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজালের সুষ্টি হয়েছে। জীবনের স্বজনদের দাবি, বুধবার বেলা দেড়টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামিউল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে।
তবে পুলিশ প্রশাসন জামিউল ইসলাম জীবনের মৃত্যুর বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক নেৃর্তৃবৃন্দ, পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
জামিউল ইসলাম জীবনের চাচা ও নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম ফিরোজ জানান, বেলা দেড়টার দিকে ভাতিজার মৃত্যুর খবর পায়। আমরা তার মরদেহ দাফন কাফনের ব্যবস্থা করছি। তার লাশ দাফনের পরেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জীবনের ছোট চাচা এসএম ফখরুদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজ প্রোফাইলে জামিউলের ছবি শেয়ার করে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছে। ক্যাপসানে লিখেছেন, ‘আমার জীবন আর আমাদের মাঝে নেই। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে এখনও মরদেহ হস্তান্তর করেনি। তারা মৃত্যু নিশ্চিতের বিষয়টি নিয়ে নাটক করছেন। যারা এখনও বলছেন, আমার ভাতিজা মারা যায়নি। তারা যেন, ভাতিজার মরদেহ আসার পর দেখে যায়, জামিউল মারা গেছে কি না?
রাজশাহীর রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমরা যোগাযোগ রাখছি। এখন পর্যন্ত জামিউলের মৃত্যুর কোন খবর পাইনি। তিনি এখন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নলডাঙ্গা অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে আমরা যোগাযোগ করছি। তারা জানিয়েছে, জামিউল এখনও মারা যায়নি। অন্যদিকে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের ছোট ভাই আলিম আল রাজি শাহকে থানা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ফেসবুক লাইভে মানহানিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ এনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমতলী এলাকায় জামউলের সাথে বাগবিতন্ডায় জড়ান। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সমর্থকদের হামলায় জামিউল ও তার বাবা ফরহাদ গুরুতর আহত হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জামিউলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.