নাটোরে অবৈধ পন্থায় বালু উত্তোলনের মহোৎসব


নাটোর প্রতিনিধি: একদিকে ভাঙ্গন ঠেকাতে নেয়া হচ্ছে রক্ষা প্রকল্প, অপরদিকে বালু উত্তোলনের মহাউৎসব। নেই নজরদারি, নিয়ম, নীতির নেই কোন তোয়াক্কা। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলমান থাকলেও নীরব প্রশাসন। যেনতেন ভাবে চলছে ড্রেজার ও বলগেডের ছড়াছড়ি। সকল আইনকে তোয়াক্কা না করেই এক শ্রেণীর বালু ব্যবসায়ী হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
হুমকির মুখেনদীপারের বসতবাড়ি, স্থাপনা, সরকারী নিয়ম তোয়াক্কা না করে নাটোরের লালপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশে দিবা লোকে পানি শূন্য পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে ভেকু দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু-ভারাট উত্তোলনের মহাৎসব চলছে।
এছাড়া রাতের অন্ধকারে যানবহনে করে বালু-ভরাট উত্তোলনের মাধ্যমে হরিলুট করে বিক্রয়ের হিড়িক লেগেছে।
পানি শূন্য পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে এভাবে বালু-ভরাট উত্তোলন করা হলে লালপুর সদরে কলনীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রায় ৫০টি বাড়ী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, থানা, লালপুর সদর বাজার সহ ১০টি গ্রাম হুমকির নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে পড়েছে।
বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি প্রবাহিত হলে নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ার ওই সব স্থাপনা সহ গ্রাম গুলো নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে শূণ্য পানির পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে অবৈধ ভাবে বালু-ভরাট লুট করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ভ‚মিদস্যুরা। এতে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও থানা সহ লালপুর সদর বাজারের পাশে দিয়ে পানি শূন্য পদ্মা থেকে ভেকু দিয়ে বালু-ভারাট উত্তোলন করতে দেখা গেছে।
ভেকু চালক বলে আপনার রানা সরদারের সাথে কথা বলুন। এর একটু পরেই চলে আসে বালু-ভারাট উত্তোলনের পরিচালনা ও বিক্রি করার ম্যানেজার এসে বলেন বৈধ ভাবে বালু-ভরাট উত্তোলন করা হচ্ছে। এইটা বৈধ ব্যবসা তাই দিনেই বালু-ভারাট উত্তোলন করে রাখা হয়েছে।
সে আরো বলেন, অবৈধ ভাবে বালু-ভরাট উত্তোলন করলে থানার পুলিশ এখানে এসে বালু-ভারাট উত্তোলন বন্ধ করে দিতো।ওই ম্যানেজার আরো বলেন, অবৈধ ভাবে বেশ কয়েকটি স্থানে রাতে বালু-ভরাট উত্তোলন করা হচ্ছে।
এবিষয়ে স্থানীয়রা বিটিসি নিউজকে জানান, রানা সরদার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাঁর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দেওয়ার আমাদের সাহস নেই এবং ভরাট উত্তোলন নিয়ে কোন কথা বলতে চাচ্ছি না।
এবিষয়ে পাবনা জেলার সাঁড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার বিটিসি নিউজকে বলেন, ২ লাখ ৯ হাজার সিপ্টি বালু ফেলানো আছে। এই বালু উঠে গেলে আর বালু উঠাবো না। এছাড়া তাঁর পাশে ১০লাখ সিপ্টি বালু খামাল দেওয়া আছে।
এবিষয়ে লালপুর থানার ওসি ফজলুর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, আমার জানা মতে কোন জায়গায় বালু-ভরাট উত্তোলন করা হচ্ছেনা।
তিনি আরো বলেন, রানা সরদার ঠিকাদারী ব্যবসায় ও রাস্তার কাজে ব্যবহারের জন্য আলাইপুর থেকে বালু এনে রেখেছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা বিটিসি নিউজকে বলেন, বালু-ভরাট উত্তোলনের কোন প্রকার অনুমোদন দেওয়া নাই। তিনি আরো বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক বালু-ভারাট উত্তোলন বন্ধ করার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.