নাটোরের সততা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগণষ্টিক সেন্টার স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

নাটোর প্রতিনিধি:  ” ভালো মানুষকে ভালো ” বলার অভ্যাস টা আমরা ভুলে যাচ্ছি। কেউ কারো ভালো কাজের প্রশাংসা করিনা। মানুষের ভালো কাজের কথা না বললে আরেকজন উৎসাহিত হবে কি করে?
যেমন আমার প্রিয় বড় ভাইদের একজন রাজা ভাই। এই মানুষটা আমার কথায় কত মানুষকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। তা বলে শেষ করা যাবে না। এইতো সেদিনই একবন্ধুকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করানোর জন্য নিয়ে গেলাম সততা ক্লিনিকে।
বন্ধুর আর্থিক দুরবস্থার কথা শুনে রাজা ভাই নিজের পকেটের টাকা দিয়ে সব পরীক্ষা নিরিক্ষা করে দিলেন। আমার একটা ফোনে কত অসহায় দরিদ্র পরিবারে মানুষের নামমাত্র মূল্যে সকল চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। রাজা ভাই মনেপ্রাণে ভালো মানুষ। ভাইয়ের ক্লিনিকটি সরকারী প্রচলিত নিয়ম কানুন মেনে সেবা দিচ্ছে।
নাটোরের বিশ্বস্ত ক্লিনিক হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করছে। তিনি তথাকথিত ক্লিনিক মালিকদের মতো বানিজ্যক না। চিকিৎসা সেবার নামে গলাকাটা বাণিজ্য করেন না। রোগীর জীবন নিয়ে খেলা করেন না। মানবাকিতা আছে। বিবেক সম্পন্ন মানুষ। ধর্মভীরু মানুষ। আমাদের সমাজে রাজা ভাইয়ের মতো রাজকীয় মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। তবে একেবারে যে নেই সেটা বললে মিথ্যা বলা হবে। যদিও বর্তমান সমাজে সততার বড়ই অভাব।
আমাদের সমাজে একেবারে যে সততা নেই। তা নয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সততা ক্লিনিক এবং ডায়াগণষ্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমাদের সবার প্রিয় আলহাজ্ব রাজা ভাইয়ের কথা। শহরবাসীর কাছে একজন সৎ, পরিশ্রমী, মেধাবী, মানবদরদী স্বপ্নবাজ তরুণ ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে “রাজা ভাই ” পরিচিত। ছোটবেলা থেকে রাজা ভাইকে চিনি এবং জানি। তিনি তিলে তিলে সততার মাধ্যমেই ক্লিনিক এবং ডায়াগণষ্টিক সেন্টার টাকে গড়ে তুলেছেন। মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের পাশাপাশি মনোযন্ত্রণার আপন তাগিদে কত দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে যে বিনামূল্যে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন তা সঠিক করে বলা সম্ভব নয়।
আত্মপ্রচারবিমূখ আমাদের রাজা ভাই নিরবে নিভৃতে মানুষের জন্য নিরলস ভাবে চিকিৎসা সেবার কাজ করে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্যসেবার মানের ক্ষেত্রে সততা ক্লিনিক তাদের নামের সার্থকতা দেখিয়েছে। তারা নাটোরের মতো মফস্বল শহরে চিকিৎসা বিজ্ঞানের একের পর এক আধুনিক যন্ত্রপাতির সংযোজন করে স্বাস্থ্য সেবায় পথ প্রর্দশক হিসেবে কাজ করে চলেছেন। দক্ষ হাতে কম খরচে অপারেশন এবং রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা সহ সকল ক্ষেত্রেই একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্টান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
যেখানে নাটোরের বেশির ভাগ ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক নেই। প্রশিক্ষিত নার্স এবং পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য নেই সনদধারী ল্যাব টেকনিশিয়ান। সেখানে সততা ক্লিনিক সরকারের প্রচলিত নিয়ম কানুন মেনে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে। যা সত্যিই প্রশাংসার দাবী রাখে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী যে কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক ও নার্সিংহোম প্রতিষ্ঠা করতে হলে ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট, ইনকাম ট্যাক্স ছাড়পত্র, প্রতিষ্ঠানের শয্যা সংখ্যা অনুসারে প্রকার, বর্গফুট অনুসারে প্রতিষ্ঠানের পরিমাণ, ইনডোর, আউটডোর ও ভৌত সুবিধাদির বিস্তারিত বিবরণ সুনির্দিষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে। তাছাড়া বাধ্যতামূলক থাকতে হবে জরুরী বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার, ওয়াশরুম, লেবার রুম, অভ্যর্থনা ও ওয়েটিং রুম, অফিস রুম, প্রশস্ত সিঁড়ি, জেনারেটর, পোস্ট অপারেটিভ রুম, স্টোররুম, স্ট্যাভিলাইজার, চেঞ্জিং রুম, নার্সদের পৃথক ডিউটি রুম, আবাসিক ডাক্তার, যন্ত্রপাতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা, সার্বক্ষণিক ডাক্তার-নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের নাম-ঠিকানা ও যোগ্যতার সনদপত্র, নিয়োগপত্র, জরুরী যন্ত্রপাতি ও ওষুধ,পরিবেশসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ।
তাছাড়া বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি জরুরী হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ অপারেশন থিয়েটার থাকা। অস্ত্রোপচার কক্ষটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, ওটি টেবিল, সাকার মেশিন, জরুরি ওষুধের ট্রে, অক্সিজেন, ওটি লাইট, অ্যানেসথেসিয়া মেশিন, ডায়াথার্মি মেশিন, রানিং ওয়াটার, আইপিএস সক্রিয় থাকতে হবে। প্যাথলিজিক্যাল ল্যাবেরটরি স্থাপনের ক্ষেত্রেও সরকার নির্ধারিত এসব নির্দেশনা পালন বাধ্যতামূলক। সব কিছুই নিয়ম মাফিক মেনে পরিচালিত হচ্ছে সততা ক্লিনিক।
সততা ক্লিনিকের সততার যাত্রা অব্যাহত থাকুক । ধন্যবাদ ও শুভকামনা রাজা ভাইয়ের জন্য।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.