নাটোরের লালপুরে দুই যুগ পুরোনো স্থাপনার উপর দ্বিতল ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরের পাইকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরনো একতলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপরে দ্বিতল ভবন নির্মাণ ও অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহম্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে স্কুল চত্বরেই এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

দুই যুগের উপরে নির্মিত এই ভবনের উপর দ্বিতল ভবন নির্মাণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকার সচেতন মহলের উদ্যোগে এ প্রতিবাদী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পাইকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবনটি দুই যুগের উপরে নির্মিত হয়েছে। এ ভবনটি বর্তমানে জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত প্রায়। পুরাতন শ্রেণি কক্ষগুলির ভেতরে পিলার ও ছাদের বিভিন্ন অংশ খুলে পড়ে যাওয়াতে ভেতরের রড দেখা যাচ্ছে। এরকম একটি জরাজীর্ণ ভবনে দ্বিতীয় তলা নির্মাণ করা হচ্ছে। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

বক্তারা আরো বলেন, পুরাতন বিল্ডিং এর পিলার ও ছাদ ভক্সগুর। দ্বিতল ভবন নির্মিত হলে ভেঙ্গে পড়তে পারে যেকোনো সময়। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে দ্বিতল ভবন নির্মাণ না করার জন্য অনুরোধ করা হলে প্রধান শিক্ষকের পক্ষ থেকে চাঁদাবাজীর মামলা দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।

পাইকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি ও দুড়দুড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইমরান আলী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমি সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও আমাকে জানতে দেওয়া হয়নি কত টাকা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে নতুন দ্বীতল ভবনটি। প্রধান শিক্ষিকাসহ পরিচালনা কমিটির বিভিন্ন সদস্যদের বলেছিলাম পুরাতন বিল্ডিং এর উপরে দ্বীতল ভবন নির্মাণ না করার জন্যে। যেহেতু পুরাতন বিল্ডিং এর ভক্সগুর পিলার এবং ছাদ সেহেতু দ্বীতল ভবন নির্মিত হলে ভেঙ্গে পড়তে পারে যে কোন সময়।

দুড়দুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল আজিজ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নির্মাণ না করার জন্য অনুরোধ করলে প্রধান শিক্ষিকা আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর মামলা দিবে বলে হুমকি দেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকা জলি আক্তারী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, স্কুলে নতুন ভবন নির্মাণের কোন কিছু জানি না। তবে শিক্ষা অধিদপ্তর হতে ইঞ্জিনিয়ার এসে তারা দেখে যায়। তারপর হঠাৎ একদিন প্রকৌশলী আমাকে মোবাইলে বলেন আমার (পাইকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের) নতুন দ্বীতল ভবনের অনুমতি হয়ে গেছে। এরপরে স্কুল সীমানায় ইট-বালি ফেলে কাজ শুরু করেন। বিদ্যালয়ের ২৬ বছরের পুরাতন শ্রেণী কক্ষের উপরে আবার নতুন করে দ্বীতল ভবন নির্মাণে কোন সমস্যা বা ধসে ভেঙ্গে পড়লে দায়ভার প্রকৌশলীদের নিতে হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী সেলিম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, চোখে দেখে মনে হয়েছে বিগত ২৬ বছরের পুরাতন স্থাপনার উপরে দ্বীতল ভবন নির্মাণে কোন সমস্যা নেই। ঝুঁকিপূর্ণ এই বিল্ডিং ধসে পড়তে পারে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি বিল্ডিং যখন তৈরী হয় তার মেয়াদকাল হয় ১ শত বছরের। তাই ২৬ বছরের পুরাতন স্থাপনার উপরে দ্বীতল ভবন নির্মাণে কোন সমস্যা হবে না বলে জানান ঐ সরকারী প্রকৌশলী।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.