নাটোরের লালপুরে আমের মুকুল সুভাস ছড়াচ্ছে

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরে পৌষের মাঝেই আম গাছে আগাম মুকুলের দেখা দিয়েছে। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে মিষ্টি গন্ধ। মুকুলের মৌ মৌ মিষ্টি গন্ধ জানান দিচ্ছে মধুমাস সমাগত। এবার শীতের তেমন তীব্রতা না থাকায় ও আবহাওয়াগত কারনে নির্ধারিত সময়ের একমাস আগেই এই উপজেলার গাছগুলিতে আগাম মুকুলের দেখা মিলেছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।
আগাম মুকুল আশায় আমচাষীদের মনে আশার আলো দেখা দিয়েছে। তবে ঘন কুয়াশা হলে এই
সকল আগাম মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান কৃষি বিভাগ। আমের রাজধানী হিসেবে রাজশাহী ও চাপাই নবাবগঞ্জ বিখ্যাত হলেও নাটোর জেলাও এখন কোনো অংশে কম নয়।
লালপুর উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, ‘এই উপজেলায় ১ হাজার ৮শত ৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের বাগান আছে। এখানকার চাষকৃত উলে­খযোগ্য জাতের আম হলো, ফজলি, নেংড়া, খেরসাপতি, গোপালভোগ, আরুপালি, লকনা অন্যতম।
লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামে বেশ কিছু বাড়ির আঙ্গিনা ও বাগানের গাছে আগাম মুকুল এসেছে। গাছে আগাম মুকুল আসায় বাগান মালিকরা ব্যস্ত হয়েছেন পরিচর্যার কাজ নিয়ে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে আমের বা¤পার ফলন হবে বলে আশা করছেন চাষী ও বাগান মালিকরা।
তবে আরো কিছু দিন পরে সব বাগান গুলিতে মুকুল আসবে বলে জানান, তারা।’ আমচাষী নাজুল হেসেন ও শফিকুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ‘এবছর শীতের তীব্রতা কম থাকায় এবং অন্য মৌসুমের চেয়ে এবার তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকায় সময় না হলেও কিছু কিছু গাছে আগাম মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে এবার গাছগুলোতে মুকুলের সমারোহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।’ তারা আরো বলেন, ‘চলতি মাসের শেষের দিকেই প্রতিটি গাছেই পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটতে শুরু করবে।’
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, ‘নির্ধারিত সময়ের প্রায় একমাস আগেই আবহাওয়াগত ও জাতের কারণেই মূলত আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশা বা শৈত্যপ্রবাহ বেশী হলে আগাম মুকুলের ক্ষতিহবে। বর্তমানে তাপমাত্রা স্বাভাবিক আছে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকুলে থাকলে চলতি মাসের শেষ সময় পর্যন্ত সব গাছে মুকুল দেখা যাবে।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.