নাটোরের বড়াইগ্রামে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ে করলেন স্কুল শিক্ষক!

 

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে বাল্য বিয়ে না কমে বরং বেড়েই চলছে। আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন সুধী সমাজ। সর্বশেষ বাল্য বিয়ের সংবাদ পাওয়া গেছে উপজেলার জোনাইল এলাকায়। সেখানে স্কুল শিক্ষক বিয়ে করেছেন ১৪ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে।

আজ বুধবার (৬ জুন) আনুষ্ঠানিক করে বাল্য বধূকে ঘরে তুলবে ওই শিক্ষক। এর আগে গত রবিবার (৩ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে একান্ত নিকট আত্মীয়দের সাথে নিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন ওই এলাকার কাজী মো. আলাউদ্দিন প্রামাণিক।জানা যায়, উপজেলার জোনাইল এম এল উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক ও দারিকুশি গ্রামের রহিম ভূঁইয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৭) অষ্টম শ্রেণীর ক্লাশ নিতে গিয়ে নজরে পড়ে ওই ক্লাশেরই রিয়া খাতুনের প্রতি।

এর পর তাকে প্রথমে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে বিয়ের প্রস্তাব দেন রিয়ার পিতা পাশ্ববর্তী চর গোবিন্দপুর গ্রামের নুরুল হোসেন নুরুর কাছে। ছেলে হিসাববিজ্ঞানে মাষ্টার্স পাশ ও স্কুল শিক্ষক। অগত্যা পিতা শিক্ষিত ছেলের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে পারেনি। অবশেষে মেয়ের অমতেই জোর করে বিয়ে দেয়া হয় সাইফুল ইসলামের সাথে।

এ ব্যাপারে সাইফুল ইসলাম জানান, পছন্দ হয়েছে তাই কলেমা পড়িয়ে রেখেছি। মেয়ের বয়স ১৮ বছর হওয়ার পর ঘরে তুলে আনবো। তবে বিয়ের কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকে যা সমাজে করতে হয় তাই তিনি সেটা করবেন বলে জানান।

এম এল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আশিকুর জামান মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বুঝতেই পারি নাই এমন ঘটনা ঘটবে। এ ঘটনার পর স্কুলের সিনিয়র শিক্ষকদের ডেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে খন্ডকালীন শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে আর স্কুলে আসতে দেয়া হবে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আনোয়ার পারভেজ জানান, ওই শিক্ষক উচ্চ শিক্ষিত হয়েও দেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.