নাটোরের বাজারে চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে আধাপাকা লিচু

নাটোর প্রতিনিধি: শুরু হয়েছে মধুমাস। রসালো ফলের মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা হবে চারপাশ। গ্রীষ্মকালকে ফলের মাসও বলা যায়। একসঙ্গে দেশীয় ফলের এমন সমারোহ আর কোন ঋতুতে চোখে পড়ে না।

ফলপ্রেমী বাঙালীরা এই মৌসুমটির জন্যই অপেক্ষা করে থাকেন সারা বছর। নাটোরের হাট বাজারে তরমুজ তো আরও আগেই এসেছে। এখন বাজারে আসতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমী ফল লিচু, কাঁঠাল, জামরুল, বেল সহ বিভিন্ন প্রকারের ফল।

রসে টইটম্বুর। স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। খেতে সুস্বাদু। আকারে বড়। বাতাসের তালে, গাছের পাতার ফাঁকে লাল হয়ে দুলছে। বলছি মৌসুমি ফল লিচুর কথা।

নাটোর জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন বিভিন্ন হাট-বাজারে আসতে শুরু করেছে লিচু। পুরোদমে লিচু এখনও পাকা শুরু হয়নি, তারপরও অনেকেই টাকার জন্য আধা পাকা লিচুই বিক্রি শুরু করেছে। তবে চাইনা থ্রি ও দিনাজপুরি জাতের লিচু এখনো পাকা শুরু হয়নি।

লিচুর দাম আকার ভেদে বেশ চড়া। নাটোরের গুরুদাসপুরে বাগানের লিচু এখনও ভাঙতে শুরু করেননি চাষী ও ব্যবসায়ীরা। বিশাল বিশাল লিচু বাগান লাল, হলুদ আর সবুজ রংয়ে ছেয়ে গেছে। যেন লিচুর গায়ে রং লেগেছে। কদিন পরই বিভিন্ন জাতের টসটসে লিচু দেখে মন ভরে যাবে চাষীদের।জানা গেছে, আর এক সপ্তাহ লাগবে লিচু পাকতে।

তার আগেই কিছুসংখ্যক লোক আধাপাকা লিচু স্থানীয় চাঁচকৈড় মোকামে খুচরা ভাবে বিক্রি করছেন। রমজান উপলক্ষে এই লিচু বিক্রি হচ্ছে চড়াদামে। বছরের প্রথম মৌসুমী ফল বিত্তবানরা সখের বশে কিনলেও নিু আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে এই রসালো ফল।

দেখা গেছে, গুরুদাসপুর উপজেলার চাচকৈড় এলাকার ফারুক হোসেন ১শ ’টির এক বোঝা লিচুর দাম হাঁকছেন ৫ থেকে ৬শটাকা। চাঁচকৈড় বাজারে বেচতে আনা ওই লিচু কেনার আগ্রহ থাকলেও দাম শুনে ঘুরে যাচ্ছেন অনেকে।

সেলিম খান নামের একজন ক্রেতা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, কেবল উঠতে শুরু করেছে বলে এখন মৌসুমি ফলমূলের দাম অনেকটাই নিুবিত্ত এবং মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে। ন্যায্য দামের চেয়ে দুই তিন গুণ বেশি দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। তবে তার মধ্যেই পরিবারের সবার জন্য মৌসুমি ফল লিচু কিনে নিচ্ছিলেন তিনি।

সাকার উদ্দিন নামের আরেক বিক্রেতা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, গ্রীষ্মকালীন ফল এখনও পুরোদমে আসেনি। সবেমাত্র ফল আসা শুরু হয়েছে। তাই দাম বেশি। ১০/১৫ দিনের মধ্যেই প্রচুর ফল আসবে এবং দামও কমে যাবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.