নাটোরের বাগাতিপাড়ায় অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

 

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে তিন মাসের অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে । এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাগাতিপাড়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। নিহত নিলুফা (২৭) পার্শ্ববর্তি রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার পাইটখালী গ্রামের আব্দুস সাত্তার এর মেয়ে এবং উপজেলার স্বরাপপুর গ্রামের আকছেদ আলীর ছেলে আশিকুর রহমান আশিকের স্ত্রী।

অভিযোগ ও নিহতে পরিবার সূত্রে জানা যায়, আশিকের সাথে গত এক বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে নিলুফার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাতো আশিক। গত ২৯ জানুয়ারী ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করলে নিলুফা তার বাবার বাড়ি থেকে এক লক্ষ টাকা আশিককে এনে দেয়। এরপরেও বাঁকি ৪ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে চাপ দেয় আশিক।

এছাড়াও নিলুফা গর্ভবতী হয়ে পড়লে তিন মাসের অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে গর্ভপাত করার জন্য নির্যাতন করতে থাকে আশিক ও তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু স্ত্রী নিলুফা গর্ভপাত ঘটাতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে গত শুক্রবার সকালে আবারও গর্ভপাত ঘটাতে ও যৌতুকের ৪ লক্ষ টাকার জন্য চাপ দিলে স্ত্রী নিলুফা তা অস্বীকৃতি জানালে আসিক ও তার পরিবারের লোকজন নিলুফাকে মারধর করে এবং গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এতে নিলুফা অসুস্থ হয়ে পড়লে নিকটস্থ বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখেই স্বামী আশিক ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।

পরে চিকিৎসক নিলুফাকে মৃত ঘোষনা করলে কাউকে না পেয়ে হাসপাতাল কর্র্র্তৃপক্ষ বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে নিলুফার মরদেহ সংরক্ষন করে। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় নিলুফার মৃত্যুর খবর পেয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মরদেহ গ্রহন করে নিলুফার পরিবারের সদস্যরা । এ ঘটনায় নিহতের বাবা গত শনিবার বাগাতিপাড়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনার পর থেকে আশিকের পরিবারের সবাই বাড়ি ছেড়ে পলাতক রয়েছে। ঘটনার চারদিন পেরোলেও তারা কেউ বাড়ি ফেরেনি।

অভিযুক্ত আশিক ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায় যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় বাগাতিপাড়া মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মরদেহের ময়না তদন্ত শেষ হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.