নাটোরের বড়াইগ্রামে বাবা কর্তৃক নিজ মেয়েকে ধর্ষণ

প্রতীকী ছবি

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে ১৬ বছর বয়সী নিজ মেয়েকে আটকে রেখে লাগাতার দুই মাস ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে পিতার বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে আজ মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে মেয়েটির মা মোছাঃ রেখা বেগম বড়াইগ্রাম থানায় ধর্ষক পিতা শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম (৪০) উপজেলার বড়াইগ্রাম পৌরশহরের গোয়ালফা এলাকার বশরত মন্ডলের ছেলে।

এলাকা এবং পরিবার সূত্রে জানা যায়, শরিফুল ইসলাম সাধক ফকির-তরিকায় সন্নাসীব্রত হলে গত দুই বছর আগে স্ত্রী রেখা তাকে ছেড়ে অন্য একটি এলাকায় বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং শরিফুল ইসলামের মেয়ে নাটোরের দিঘাপতিয়া পূর্ব হাগুরিয়া গ্রামের তার নানা আনোয়ার হোসেনের বাসায় থাকে।

গত কোরবানির ঈদের ৬ দিন আগে লম্পট পিতা শরীফুল বিভিন্ন কৌশলে মেয়েকে বড়াইগ্রামে তার বাড়িতে নিয়ে আসে এবং জোরপূর্বক আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের শিকার মেয়েটি জানায়, সর্বশেষ গত রবিবার রাতে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এর আগে দুই মাস যাবৎ লম্পট পিতা তাকে নিয়মিতভাবে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছে।

মেয়েটি এ ঘটনা দাদা বশরত আলী ও তার দাদীকে জানালেও এতে কোন লাভ হয়নি বরং সে আরও অসহায় হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন সময় যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি শারীরিকভাবেও নির্যাতনের শিকার হয় সে।

বাড়িতে কোন লোকজন এলে তার সাথে দেখা বা কথা বলতেও দিতো না এই পরিবারের সদস্যরা।

পরে মেয়েটি তার নানীকে ঘটনা খুলে বললে মেয়েটির মা ও নানী গতকাল সোমবার এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ও থানায় মামলা দায়ের করে।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, এ ব্যাপারে মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত পিতা পলাতক রয়েছে। তাকে আটক করতে পুলিশ চেষ্টা করছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.