নাটোরের নলডাঙ্গায় টাকা দিয়েও মেলেনি বাড়ি

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর গ্রামের মৃত ফারুক হোসেনের স্ত্রী বিধবা পাপিয়া নিজের ঘরবাড়ি না থাকায় অন্যের বাড়িতে বসবাস করতেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে তার মতো এ উপজেলার ৪৯ জন গৃহহীন সরকারের আশ্রায়ন প্রকল্পের পাকা ঘর পেয়েছেন।প্রথম দফায় ৪০ টি ও দ্বিতীয় দফায় ৯ টি ঘর পেয়েছেন গৃহহীনরা।
গত ২০ জুন উপজেলা হল রুমে ৯ টি পাকা ঘরের মধ্যে একটি ঘরের দলিল বুঝে নিতে এসেছিলেন পাপিয়া। আশ্রায়ন প্রকল্পের ১লাখ ৭০ টাকা ব্যায়ে নির্মিত এ পাকা ঘর বিনামূল্যে পেয়ে পাপিয়া খুশি হলেও এর বিপরীত চিত্র উপজেলার ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের শাখাঁরীপাড়া গ্রামে।
এই গ্রামের ভ্যানচালক সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ময়না বেগম অভিযোগ করেছেন,আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর পেতে এই ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য আব্দুল কাফী কে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন।কিন্ত ঘর মেলেনি।
এছাড়া খাজুরা ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের শ্রী শিরিশ হালদার ঘর পেতে ৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন ওই গ্রামের ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সাধারন স¤পাদক অপূর্ব চক্রবর্তী অপু ঠাকুরের হাতে।কিন্ত হতদরিদ্র শিরিশ হালদার ঘর পায়নি।তবে মিডিয়া কর্মির চাপে যদিও পুরো টাকা ফেরত দিয়েছেন অপূর্ব চক্রবর্তী অপু ঠাকুর।
এদিকে ঘর পেতে ১০ হাজার টাকা দিলেও ঘরও পায়নি টাকাও ফেতর পায়নি ময়না বেগম।ভুক্তভোগি ময়না বেগম বলেন,আমি আমার স্বামী এক ছেলে এক মেয়ে ও ছেলের বউ নিয়ে টিনে বেড়া ঘরে কষ্টে বসবাস করি।সরকারী বিনামূল্যের ঘর পেতে প্রায় দুই বছর আগে আমার সোনার কানের দুল বিক্রি করে ১০ হাজার টাকা কাফি মেম্বারের হাতে দিই।কিন্ত ঘর তো দুরের কথা গহনা বিক্রির টাকা চাইতে গেলে উল্টো ভয়ভীতি হুমকি ধামকি ও গালিগালাজ শুনতে হয়েছে।
ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল কাফির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘর দেওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা নেওয়ার কথা প্রথমে স্বীকার করলেও পরে সুদের ওপর টাকা নেওয়ার কথা বলেন, এবং আরও বলেন টাকা এক সপ্তাহের মধ্যে আমি ফেরত দিব।কিন্ত তিন মাসেও ময়না বেগম টাকা ফেরত পায়নি। বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়নে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি (আদিবাসী) গৃহহীনদের জন্য আরো ও ৫ ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
এই ইউনিয়নের বানুরভাগ গ্রামের যুবলীগ নেতা তুফানের পাকা বাড়ি থাকা সত্তেও আশ্রায়ণ প্রকল্পের সেমি পাকা বাড়ি পেয়েছেন গত দুই বছর আগে।
ব্রহ্মপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বাবু বিটিসি নিউজকে জানান, ঘর দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার কোন অভিযোগ কেউ করেনি।কোন ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নলডাঙ্গা উপজেলা
নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিটিসি নিউজকে জানান, এ ধরনের কোন অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থ্য গ্রহন করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.