নাটোরের গুরুদাসপুরে সরিষা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে দিন দিন বাড়ছে সরিষার আবাদ। স্বল্প খরচ ও শ্রমে অধিক ফলন হওয়ায় সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। অন্যান্য ফসলের চেয়ে এ রবিশস্যের দামও রয়েছে বেশ আর ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধিতে নিজ পরিবারের চাহিদা মেটাতে সরিষা চাষ করছেন অনেকে। তাছাড়া সরিষা চাষে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। ফলে একদিকে যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, তেমনি তাদের জমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে হলুদের সমারোহ। সরিষার হলুদ রঙের ফুলে ভরে আছে সরিষা ক্ষেত। মৌমাছি আর প্রজাপতির আনা-গোনায় সরিষা মাঠগুলো হয়ে উঠেছে মনোমুগ্ধকর। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতবারের চেয়ে এবার কিছুটা বেড়েছে সরিষার আবাদ। গত মৌসুমে ৭শ ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। তবে চলতি মৌসুমে এবার ৭শ ৯০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এরমধ্যে টরি-৭ ও বারি-১৪ জাতের সরিষার চাষ বেশি।
উপজেলার খুবজীপুরের শ্রীপুর গ্রামের চাষি শরিফুল ইসলাম রেজো বলেন, রসুনের আবাদ করে লোকসান গুনতে হয়েছে। তাই সরিষার ভালো দাম থাকায় রসুনের লোকসান পুষিয়ে নিতে ২৫ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করছেন তিনি। প্রতি বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। ভালো ফলন হলে বিঘাতে ৬ থেকে ৭ মণ সরিষা হয়। প্রতি মণ সরিষা বিক্রি করা যায় ২ হাজার ৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা দরে।
একই গ্রামের শাকিল আহম্মেদ বিটিসি নিউজকে বলেন, খাবার তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ১বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। এতে কিছুটা হলেও সঞ্চয় হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ বিটিসি নিউজকে জানান, মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের মধ্যে প্রয়োজনীয় সার, বীজ ও কীটনাশক বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.