নাটোরের গুরুদাসপুরে অবৈধ সোঁতিজাল দিয়ে মাছ শিকার

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর ইউনিয়নের বিলশা এলাকায় ব্রিজের পূর্বপাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ করে অবৈধ সোঁতিজাল পেতে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এসব সোঁতিজালে ছোট-বড় নানা প্রজাতির মাছ নির্বিচারে ধরা পড়ছে।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি দলের প্রভাবখাটিয়ে বিলশার আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন বিলসা ব্রিজের পূর্বপাশের নদী পয়েন্টে সোঁতিজাল পেতে মাছ শিকার করছেন।
এব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, সবে মাত্র জাল ধরেছি। মাছ কিছুই পাওয়া যাচ্ছেনা। শুধু শুধু খরচ করে বসে আছি।
বিলশা সোঁতিজাল চক্রের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একটি জাল পাততে দুই-তিন লাখ টাকা খরচ হয়। সব ম্যানেজ করেই মাছ শিকার করছেন তাঁরা। বর্তমানে নদীতে পানি বেশি ও হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাছ কম ধরা পড়ছে। তবে পানি নামার সময় এক টানেই ১০ থেকে ২০ টাকার মাছ মাছ জালে ধরা পড়ে। নদীর দুইপার বরাবর বাঁশ, নেটজাল ও তালাই দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। মধ্যে ফাঁকা রাখা হয়েছে। সেখানেই পাতা হয় জাল। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পরপর সেসব জাল তুলে সংগ্রহ করা হয় মাছ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিপলা এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বিটিসি নিউজকে বলেন, নদীতে এভারে সোঁতিজাল পাতায় নদীর পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। নৌকা চলাচল ব্যাপক সমস্যা হয়। এভাবে সোঁতিজাল দিয়ে মাছ শিকার করতে থাকলে ছিটিয়ে বোনা সরিষা, ভুট্টা, গম ও রসুন আবাদ ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্থ হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার পিপলা এলাকা থেকে রাতে দুইটা সোঁতিজাল পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে। তবে বিলশা এলাকার সোঁতিজাল এখনো চলছে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মতিন বিটিসি নিউজকে বলেন, সোঁতিজালের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। বিলশা এলাকার সোঁতিজালও উচ্ছেদ করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, সোঁতিজাল দিয়ে কাউকে মাছ শিকার করতে দেওয়া হবে না। মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সময়ে অভিযান চালানো হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.