নাটোরের একজন জনপ্রতিনিধি কি করলেন?

বিশেষ (নাটোর) প্রতিনিধি: যদি কেউ অন্যের অভাব কিংবা কষ্টে নির্বিকার থাকেন, তখন লোকে তাকে নিষ্ঠুর, কৃপণ ইত্যাদি কু-বিশেষণে বিশেষায়িত করে। আবার যদি উদার হাতে এগিয়ে আসেন তখন বলে, প্রচারের জন্য করছে, নাম-লোভী। এটি বাঙালি চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

আমার এ লেখাকে অনেকে তোষামোদ বলে ভাবতে পারেন। প্রত্যেকের নিজস্ব ভাবনার অলঙ্ঘনীয় স্বাধীনতা আছে। কারও ভাবনা নিয়ে আমার কোন মাথাব্যথা নেই। আমার চোখে যেটি সুন্দর, মোহনীয় সেটি উচ্ছ্বসিত ভাবালুতায় প্রকাশ করতে কোন অবস্থাতে দ্বিধা করব না, পিছিয়ে যাব না।

এখানে কারও প্রশংসার প্রত্যাশা যেমন করি না, তেমনি করি না নিন্দার শঙ্কা। আমার প্রিয় মানুষ গুলোকে আমি প্রকাশ করব আমার আনন্দের জন্য। এ ছাড়াও লেখা প্রকাশের অন্য একটি উদ্দেশ্য আছে।

সেটি হল, যে দেশে গুণীর কদর নেই, সে দেশে গুণী জন্মায় না। সমকালীন রাজনীতিতে একজন মেধাবী সফল তরুণ রাজনীতিবিদ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। নাটোর জেলার এমন কৃতি সন্তানকে নিয়ে লেখায় যায় ।

‘তিনি স্ববিকশিত অনুপ্রেরণা। সুন্দর অবয়ব, চমৎকার ব্যবহার। ব্যক্তিত্বে আকর্ষণীয়, সদাহাস্যে অনুপম। অহঙ্কারের লেশমাত্র নেই। সমস্যা ও কারণ দুটোই দ্রুত এবং যথার্থ প্রত্যুৎপন্নমতিত্বে চিহ্নিত করতে পারেন। বুদ্ধিমান, ধীর ও স্থির। তাঁর রাজনীতি, চিন্তা-চেতনা ও আর্থ-সামাজিক দর্শন সার্বজনীন মূল্যবোধের নির্লোভ মমতায় সৌরালোকের মত উদ্ভাসিত ও বাতাসের মত প্রসারিত।
তিনি প্রকৃতির মত সহনশীল, শিশুর মত সরল, জ্ঞানের মত বিশাল আর বৃষ্টির মত নির্লোভ। ক্ষমাশীলতার নান্দনিক ছন্দে আলোড়িত; বুদ্ধি, প্রখর দৃষ্টিভঙ্গী তাঁর রাগ, ক্ষোভ, ঘৃণা ও বিমর্ষতাকে চিরতরে মুছে দিয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর ভক্ত, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের মাঝে আনন্দ খুঁজে পান। তাঁর  শিক্ষাবিস্তার নেশা।
তিনি একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ ।রাজনীতিকে ব্যক্তিস্বার্থে নয়, ত্যাগের মহিমায় লাস্যময় করার প্রতিযোগিতায় নিবেদিত। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের প্রতি অপরিসীম মমতায় তিনি সদা সচেতন। কারও সাথে দুর্ব্যবহার করেন না। ধমনীতে উচ্চবংশীয় পবিত্র রক্তের প্রবাহ।
তিনি পরিশ্রমী, তেজি ও আত্মপ্রত্যয়ী। শত্রুকে বন্ধু বানিয়ে বিনাশ করেন। তিনি ধর্মপ্রাণ কিন্তু অসাম্প্রদায়িক, ধনী কিন্তু নিরহঙ্কারী। শিক্ষিত কিন্তু উন্নাসিক নন। চিত্ত ও বিত্ত দুটোই তার উচ্চ শিক্ষার মত সমৃদ্ধ।
তিনি আর কেউ নন, চলনবিলের কৃতি সন্তান ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সেদিন বাইকে করে ছুটে চলেছেন নাটোরের চলনবিলের সিংড়া কোন একটা গ্রামের দিকে। শহর থেকে বের হয়ে একটা লালোর নামক স্থানে গিয়ে হঠাৎ একজন কৃষক যিনি জমি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন গাড়ি থামিয়ে বললেন, চাচা আসসালমু আলাইকুম কেমন আছেন আপনি? বাসায় সবাই ভালো? চাচা বাসায় খাবার দাবার আছে?
এই নেন একটা প্যাকেট। আসি চাচা দোয়া করবেন।সাবধানে থাকবেন।
বাইক আবার চলতে শুরু করলেন , একজন মাননীয় মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য। আশেপাশে কোন পুলিশ নাই,কোন হুইসেল নাই,নাই কোন সাইরেন,নাই কোন মোটরের বহর।
৫ কোটি টাকার দামি প্যারেডো গাড়ি নাই যে গ্লাস নামিয়ে ঐ চাচা এদিকে আসেন অথবা সাথে থাকা বাহিনীর সদস্যদের কেউ গিয়ে ঐ কাকা আপনাকে মন্ত্রী মহোদয় ডাকেন —–;
বৃদ্ধ কৃষক এতক্ষণে নীরবে এমপি মহোদয়ের চলে যাওয়ার পথে ফ্যালফ্যেলিয়ে তাকিয়ে রইলেন।
বাড়ীতে গিয়ে হয়তো চাচা স্ত্রী সন্তানদের ডেকে বুক ভরা আনন্দ উৎসাহ নিয়ে জানিস আজ কার লগে দেখা হয়েছিল?
এই খাবার এই যে টাকা কে দিয়েছেন?.
পরিবারের সদস্যদের সবার মাঝে কি দারুণ উৎকন্ঠা।
মেয়েটিকে বুকে জড়িয়ে বাবা বলছেন ,আমাগো পলক দিয়েছে মা, সে হঠাৎ মোটরসাইকেল থামিয়ে আমাকে সালাম করে এই খাবার ও কিছু টাকা দিয়ে গেছেন। সবার মুখে একটা আনন্দের অনুভূতি। মন্ত্রী বা এমপি কি এমন হয়?
মন্ত্রী ও এমপিরা এত সাধারণ থাকে?
এরকম হঠাৎ হঠাৎ নিম্ন আয়ের মানুষের বাড়ীর সামনে নেমে কোথাও খাবার কোথাও টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন চলনবিলের মানুষের ভালোবাসার পলক ।
কিন্তু তিনি সাংবাদিক বা ক্যামেরাম্যান কোন ছবি তোলা থেকে নিজেকে বিরতি রেখেছেন।
হঠাৎ করে একজন গরীব মা যখন দেখলেন পলক ভাই নিজে খাবারের প্যাকেট নিয়ে তার বাড়ী তখন তাদের অনুভতি কেমন হয় এটা কেবল তারাই বলতে পারবে।।
পাড়ার ছেলেরা বুঝে উঠার আগে, তরুণ প্রজন্মের সন্তানেরা বুঝে উঠার আগেই পলক ভাই এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে গিয়ে খাবার দিয়ে দ্রুত সরে পড়েছেন। যাতে কোন ভীড় না হয়।
পরেরদিন নাটোর সিংড়া থেকে ভ্যানে করে বারোইহাটি থেকে ডাঙ্গাপাড়া পর্যন্ত সামনে যত কৃষক,ক্ষেতমজুর, ভ্যান চালক,জেলে,মাঝি পেয়েছেন হঠাৎ করে ভ্যান থামিয়ে সালাম দিয়ে কিছু খাবার বা সম্মানি হাতে দিয়েছেন। দোয়া চেয়েছেন।
এমন সব মানুষের চোখের ভাষা তাদের আকুতি দেখে পলক ভাই মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছেন জীবনে যাই করি না কেন যাই হোক না কেন এদের সাথে বেইমানি করতে পারবো না।এদের ঠকাতে পারবো না।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সব সময় বলেছেন, করোনা মহামারিকালীন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নাটোরের চলনবিলের একটি মানুষকেও অনাহারে-অর্ধাহারে রাখবে না শেখ হাসিনার সরকার।
প্রতিমন্ত্রী পলক দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে চলনবিলের ডুবন্ত সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে চলনবিলের বন্য দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। কখনও কখনও কোমর পানিতে নেমে হেঁটে দুর্গতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সাথে কথা বলেন এবং নিজে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেন।
এ সময় তিনি বর্ন্যাতদের উদ্দেশ্যে বলেন, চলনবিলের কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বৈশ্বিক মহামারি মোকাবেলা করে চলেছেন, এই ব্যন্যায়ও আপনাদের কোন কষ্ট পেতে দিবেন না।
তিনি সব ব্যবস্থ্যকরে রেখেছেন। আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আপনাদের সেবা করতে পাশে থাকতে। চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়াবাসীর প্রতিটি দূর্যোগে,সুখে ,অসুখে একজন আস্থাভাজন নেতার নাম পলক ।
আবহেলিত  চলনবিলের সিংড়াকে যিনি আধুনিক সিংড়া বানিয়েছেন । জীবনযাত্রা মানবৃদ্ধি এবং শিক্ষার প্রসারে ও স্বাস্থ্যসেবায় সিংড়া আজ সারাদেহের মডেল উপজেলা ।
আপনি চলনবিলের পলক হয়েই বেঁচে থাকেন। চলনবিলের গ্রামের আজ মানুষ আধুনিক নাগরিক সুবিধা পাচ্ছে । যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে যিনি বিপ্লব ঘটিয়েছেন ।
সাদামাটা হাসিখুশি একজন প্রাণবন্ত উচ্ছসিত যুবক যার গতিতে পাল্টে যাচ্ছে চলনবিলের জনপদ।
ছোট কিংবা বড় সবাই, যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ এর সাথে পরিচিত কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া/পত্রপত্রিকায় চোখ রাখেন, তারা জুনাইদ আহমেদ পলক‘কে অবশ্যই চেনেন।
জনাব পলক একজন আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ। জুনাইদ আহমেদ পলক ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচিত বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য। পলক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পৃথিবীতে কোন কিছু পরিপূর্ণ নয়। তাই পলকের সমালোচনা অনিবার্য। কিন্তু সমালোচনা অনেকে সহ্য করতে পারেন না। তবে সমালোচনা কখনও খারাপ নয় বরং কল্যাণকর।
এ জন্য বিশ্ব জ্ঞানমণ্ডলে সমালোচনা একটি সাহিত্যকর্ম হিসেবে স্বীকৃত। একটি কথা খেয়াল রাখা দরকার, হিংসা, বিদ্বেষ কিংবা উদ্দেশ্যপ্রসূত বক্তব্য কখনও সমালোচনা নয়। সমালোচনাকে অনেকে নিন্দা বা কুৎসার সমার্থক মনে করে থাকেন। তবে সমালোচনা আর কুৎসার পার্থক্য আকাশ পাতাল।
সমালোচনা গবেষণাময় পর্যবেণের অভিক্ষেপ এবং যুক্তির ভাবার্থ। অন্যদিকে নিন্দা অবিবেচনাপ্রসূত মন্তব্য; যার উৎস রাগ আর ঈর্ষা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (নাটোর) প্রতিনিধি মো. নাসিম উদ্দিন নাসিম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.