নাটোরের ইটভাটা শ্রমিকের ছেলে রাকিব মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত!

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের ইটভাটা শ্রমিকের ছেলে রাকিব হোসেন মেডিকেল কলেজে চান্স পেলেও টাকার অভাবে তার ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। নাটোর সদরের ছাতনী ভাটপাড়া গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক মোঃ আনসার আলী (৪৮)। প্রায় পাঁচ বছর আগে সড়ক দূর্ঘটনায় মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ায় তিনি পরিশ্রমের আর কোন কাজ করতে পারেন না। সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তায় এই শরীর নিয়েও সপ্তাহে বেশ কয়েকদিন দুইশত টাকা হাজিরায় ইট ভাটায় বিভিন্ন কাজে সহযোগীতার কাজ করেন।
রাকিব মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিকেও গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়ায় পুরো এলাকাবাসীই আশা করেছিল সে ভালো কিছু করবে। সকলের আশা পুরুন করে এবার সে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় পুরো এলাকার মানুষ খুশি হলেও হতাশায় পড়েছে তার বাবা আনসার আলী ও মা আজেদা বেগম।এলাকার মানুষের মুখে মিষ্টি তুলে দেবার মতো অর্থও তাদের নেই।
রাকিবের বড় ভাই অনার্স পাশ করলেও এখনো কোন চাকুরী পায়নি।
রাকিব জানায়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইন্তাজ আলী স্যারসহ বিভিন্ন শিক্ষকদের সহযোগীতায় এবং ২০১৯ সালে মাধ্যমিক পাশের পর একটি বে-সরকারি ব্যাংক তার সহযোগীতায় কিছুটা এগিয়ে আসায় সে এতদূর আসতে সক্ষম হয়েছে। খাতা কলম ও বই কেনার জন্য সে নিজে একাধিক টিউশনিও করেছে।
জীবনের চুড়ান্ত এই সময়ে অর্থের অভাবে মেডিকেল কলেজে ভর্তি ও তার লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে নেয়ার যোগ্যতা তার পরিবারের নেই। এখন কিভাবে এই ব্যয়ভার সংস্থান হবে তা ভেবেই কূল পাচ্ছেন নারাকিবের বাবা-মা। রাকিব এমবিবিএস পাশ করে একজন মানবিক চিকিৎসক হতে চান। দেশের হাজারো অভাবী মানুষের সেবা করতে চান। অর্থা ভাবে আদৌ তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পুরুন হবে কি না সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
রাকিবের মা আজেদা বেগম বিটিসি নিউজকে বলেন, তার সন্তানের অনেক মেধা এবং তাদের অনেক স্বপ্ন থাকলেও স্বপ্ন পুরুনের মতো অর্থ তাদের নেই। তাই সমাজের হৃদয়বান ও বৃত্তবানরা এগিয়ে আসলেই পুরুন হতে পারে তার সন্তানের একজন মানবিক চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.