নাটোরর সিংড়ায় দুবৃর্ত্তের ধারাবাহিক অগ্নিসন্ত্রাসে জিম্মি গ্রামবাসী !

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের সিংড়ায় দুবৃর্ত্তের ধারাবাহিক অগ্নিসন্ত্রাসে কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে গ্রামের ৩০০ পরিবারের সাধারণ মানুষ। রাত জেগে পাহারা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছেনা এই অগ্নিসন্ত্রাস। ৭ দিনের ব্যবধানে ৭ বার অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আতংকে ঘুম হারাম হয়ে গেছে গ্রামবাসীর।

দুর্বৃত্তদের অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের সাজুরিয়া গ্রামে। এসব ঘটনায় সিংড়া থানায় মামলা করেছে এক ভুক্তভোগী। গ্রামবাসীর দাবি এলাকায় যারা মদগাঁজা সেবন করে ও মাদকের সাথে জড়িতরাই সংঘবদ্ধ হয়ে এই অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনা ঘটাচ্ছে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, গত ১৩ এপ্রিল রাত ৯ টায় আইজ উদ্দিনের পানের বরজে প্রথম অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এর একদিন পর ১৫ এপ্রিল রাত ৯ টায় আতাউল্লাহর খড়ের পালায় অগ্নিকান্ড ঘটলে গ্রামবাসীর মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে গ্রামবাসী দুবৃর্ত্তদের ধরতে অনুসন্ধান চালায় সেই সাথে যার যার খড়ের পালা ও বাড়ি ঘর পাহারা দেয়া শুরু করে।

এমন পাহারারত অবস্থায় গত ১৭ এপ্রিল গভীর রাতে শুকুর আলীর খড়ের পালা এবং ১৮ এপ্রিল রাত ২টায় ফেরদৌস আলমের খড়ের পালা সহ হাঁসের খামার ও টিনের ঘর দুবৃর্ত্তদের অগ্নিকান্ডে পুড়ে যায়। এতে ফেরদৌস আলমের প্রায় দেড় লক্ষাধিক সম্পদের ক্ষতি হয় বলে স্থানীয়রা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানায়।

স্থানীয়রা আরও জানায় ফেরদৌস আলমের বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনার দিন একই সময়ে বাবু নামের একজনের পানের বরজেও অগ্নিকান্ড ঘটায় দুবৃর্ত্তরা। এসব ঘটনায় গ্রামবাসী চিন্তিত হয়ে পড়েন। সব ঘটনাই ঘটছে রাতে। এর আগে তো এমনটা হয়নি।

সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয় এবার শুধু যার যার সম্পদ তারা নিজেরাই পাহারা নয় গ্রামের তরুণ ও যুবকরা রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত পালা করে প্রতি রাতে লাঠি হাতে পুরো গ্রামের বাড়িঘর ও খড়ের পালা পাহারা দিবে। শুরু হয় পাহারা।

সবাইকে অবাক করে গত ২১ এপ্রিল রাত সাড়ে আটটায় আব্দুর রশিদের খড়ের পালায় আগুন দেয় অগ্নিসন্ত্রাসীরা। আগুন পুড়ে যায় সবকিছু। সবাই তখন এশার নামাজ আদায় করে বাড়ি ফিরছিলেন। বিষয়টি যে আগ্নিসন্ত্রাস তা বুঝতে আর বাঁকি রইলো না কারও।

ভুক্তভোগী শুকুর আলী বলেন, এই গ্রামে কিছু যুবক আছে যারা মাদক সেবন ও বিক্রয় করে। মাদকের সাথে যারা জড়িত তারাই সংঘবদ্ধ হয়ে এমন সন্ত্রাসী তান্ডব চালাচ্ছে।

হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওর্য়াড সদস্য মেহের আলী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, এই ঘটনায় আমি ৩ দিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কেবা কাহারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে বোঝা যাচ্ছেনা। আমি গ্রামবাসীকে রাত জেগে পাহারা দেওয়ার কথা বলেছি।

সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর এ আলম সিদ্দিকী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ভূক্তভোগী ফেরদৌস আলমের ভাই রজব আলী বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় আলাল নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। বর্তমানে সে জামিনে রয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.