নাটকীয় জয়ে এগিয়ে গেল পাকিস্তান

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: সেঞ্চুরিয়নে নাটকীয়তায় পূর্ণ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। জয় নিশ্চিত করতে শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে সফরকারীদের। আর এই জয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ০-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাবর আজমের দল।
গতকাল শুক্রবার (০২ এপ্রিল) সুপার স্পোর্টস পার্কে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রান জড়ো করে প্রোটিয়ারা। যদিও শুরুর কাহিনীটা ছিল ভিন্ন। পাকিস্তানি বোলিং তোপে মাত্র ৫৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে প্রোটিয়ারা। সেখান থেকেই দিলকে টেনে তুলে এই সম্মানজনক স্থানে পৌঁছে দেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও ডেভিড মিলার।
এ দুজনে মিলে পঞ্চম উইকেটে গড়েন ১১৬ রানের অনবদ্য জুটি। মূলত এই জুটিতেই পৌনে দুইশ রানের পুঁজি গড়ার ভিত পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এসময়ে মিলার ৫০ রান করে ফিরলেও নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পূরণ করেও দমে যাননি ডুসেন। ১৩৪ বলে ১০টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে ১২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ওয়ানডাউনে নামা এই ব্যাটসম্যান।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে অ্যান্ডিলে ফেহলুকায়োর ব্যাট থেকে। পাকিস্তানের পক্ষে শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ দুটি করে উইকেট লাভ করেন।

২৭৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় মাত্র ৯ রানেই ফখর জামানকে (৮) হারায় পাকিস্তান। তবে দ্বিতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক বাবর আজম ও আরেক ওপেনার ইমাম উল হক। এ দুজনে মিলে গড়েন ১৭৭ রানের জুটি। দলীয় ১৮৬ রানের মাথায় বাবর সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এই জুটি।

সাজঘরে ফেরার আগে বাবর অবশ্য শতক পূর্ণ করেন। ১০৪ বলের মোকাবেলায় ১০৩ রান করেন ১৭টি চারের সাহায্যে। ক্যারিয়ারের ১৩তম শতক হাঁকিয়ে বিদায় নেয়ার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি সঙ্গী ইমামও। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৮০ বলে ৭০ রান করে আউট হন ইমাম। এই দুজনকেই সাজঘরে ফেরান এনরিখ নর্টজে।
এই প্রোটিয়া পেসারের পেস তোপেই যেন খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। পরপর চারটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচটি রোমাঞ্চকর করে তোলেন নর্টজে। বাবর আজমের শতক ও ইমামের ফিফটিতে সহজ জয়ের পথে হাঁটতে থাকা পাকিস্তানকে পথচ্যুত করে ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতেই নিয়ে নেয় স্বাগতিকরা।
কিন্তু নাটক যে তখনও বাকী! শেষদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের সুযোগ সৃষ্টি করলেও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৫২ বলে ৪০ ও শাদাব খানের ৩০ বলে ৩৩ রানের ইনিংসে ভর করে ১ বলে ১ রানে চলে যায় ম্যাচের সমীকরণ। তবে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন ফাহিম আশরাফ।
শেষ বলে হেরে যাওয়া প্রোটিয়াদের হয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেন এনরিখ নর্টজে। রাবাদা ও ফেহলুকায়ো নেন ১টি করে উইকেট। তবে ম্যাচ সেরা হন পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম।
দুদলের মধ্যকার দ্বিতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল ৪ এপ্রিল জোহান্সবার্গে। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হবে এই সেঞ্চুরিয়নেই আগামী ৭ এপ্রিল। এরপর ১০ থেকে ১৬ এপ্রিল ৪টি টি-টোয়েন্টি খেলবে উভয়দল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.