নাগেশ্বরীতে বিএমডিএ কর্তৃক খাল পুনঃ খনন কাজের উদ্বোধন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: ভূ-পরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষের বাস্তবায়নে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বোয়ালের দাঁড়া হতে মোয়ামারী হয়ে বেরুবাড়ী স্ইসগেট পর্যন্ত খাল পুনঃ খনন কাজের উদ্বোধন ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আছলাম হোসেন সওদাগর। গতকাল রোববার বিকেলে বেরুবাড়ী বাজার সংলগ্ন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর প্রকল্প পরিচালক, ইআইআরপি ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জনাব মো. হাবিবুর রহমান খান, নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম মশিউর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী জনাব আলমগীর কবির, উপ-সহকারী প্রকৌশলী খাইরুল বাশার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান আলী প্রমুখ। এছাড়াও স্থানীয় কৃষক-শ্রমিক ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা জানান, “ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বৃহত্তর রংপুরর ৫ জেলার (রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা) ৩৫টি উপজেলায় খাল, বিল পুকুর পুনঃ খনন কাজ, এলএলপি স্থাপন, পাতকুয়া স্থাপন, ফুট ওভার ব্রীজ, ক্রসড্যাম নির্মাণ ও বৃক্ষরোপন কাজ করা হবে। খাল, বিল ও পুকুর পুনঃ খনন করা হলে পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, অতি বৃষ্টি ও বন্যায় পানি নিষ্কাশনের পথ সুগম হবে, জলাবদ্ধ দুর হয়ে কৃষিজমি দ্রুত চাষাবাদের উপযোগী হয়ে উঠবে, খানে সঞ্চিত পানি কৃষি জমিতে সেচ কাজের পাশাপাশি হাঁস ও মাছ চাষসহ গৃহস্থলী কাজে ব্যবহার করা হবে। ভু-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে ও ভু-গর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীলতা হ্রাস পাবে। প্রতি কিলোমিটার খালের পানিতে প্রায় ৫শ ৩০ একর জমিতে সম্পুরক সেচ প্রদান করা সম্ভব হবে।
এছাড়াও খালে মজুদকৃত পানি ভু-গর্ভস্থ পানির স্তর পুর্নভরনে অগ্রনী ভুমিকা রাখবে। চলতি অর্থবছরে প্রকল্পের আওতায় ২০ কি.মি. খাল, ৩টি বিল, ১০টি পুকুর, ১০টি সৌরশক্তি চালিত এলএলপি, ১০ টি বিদ্যুৎ চালিত এলএলপি, ১০টি সৌরশক্তি চালিত পাতকুয়া স্থাপন ও ৩১ হাজার বৃক্ষরোপনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এই লক্ষমাত্রার আলোকে চলতি অর্থবছরে নাগেশ্বরী উপজেলায় এই খালের দৈর্ঘ্য ৬ কি.মি. খনন কাজ শুরু করা হচ্ছে।
এছাড়াও দুইটি পুকুর পুনঃ খনন কাজ ও দুইটি সৌর বিদ্যুৎ চালিত এলএলপি স্থাপন কাজ শুরু হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলায় এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৪ কি. মি. খাল, ২ টি পুকুর পুনঃ খনন ও ৩শ জন কৃষককে আধুনিক চাষাবাদ ও কৃষি প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। খালে পানি সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ক্রসড্যাম নির্মাণ ও জনগনের পারাপারের জন্য ফুট ওভার ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। খননকৃত খাল, বিল ও পুকুরের ধারে ফলদ, বনজ ও ঔষধী ৫০হাজার বৃক্ষরোপন করা হবে, যা অতিরিক্ত বনজ সম্পদ সৃষ্টিসহ সামগ্রীক ভাবে পরিবেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা করবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি মো. হাফিজুর রহমান হৃদয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.