নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন পরিষদের প্রবেশদ্বারে চায়ের দোকান সাধারনের চলাচল বিঘ্নিত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে নাগেশ্বরীতে এক ইউনয়ন পরিষদ ভবনের প্রবশদ্বারে চায়ের দোকান দেয়ায় চলাচল বিঘিœত হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদে আসা সাধারণ মানুষের। সেই সাথে বিঘ্নিত হচ্ছে ইউপি চেয়ারম্যান, সচিব, সদস্য ও গ্রাম পুলিশসহ সকল জনসাধারণের যাতায়াত। প্রভাব খাটিয়ে জোর জবরদস্তি করে ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় অবৈধভাবে দোকান দেয়ায় ক্ষুব্দ এলাকাবাসী। সাধারণ মানুষ এ ব্যাপারে ওই দোকানদারকে দোকান সরিয়ে নেয়ার কথা বললে তিনি তা তোয়াক্কা করছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়ন পরিষদের সামনেই দেখা যায় এমন দৃশ্য। স্থানীয়রা জানান, আবেদ আলী নামের এক ব্যাক্তি দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের প্রবেশমুখে চায়ের দোকান দেয়ায় বিঘিœত হচ্ছে পরিষদে যাতায়াতের লোকজনের। ভিজিএফ, ভিজিডি, জন্ম নিবন্ধন তোলা, বয়স্ক ও বিধবা ভাতাভোগী, শিশু, নারী-পুরুষসহ নানা বয়সী সকল শ্রেণিপেশার মানুষের যাতায়াত পরিষদে। কিন্ত চায়ের দোকানের আগুনের ধোঁয়ায় অতিষ্ট সকলে। পরিবেশ দুষিত হওয়ায় ব্যহত হয় পরিষদের নানাবিধ কার্যক্রমও। এভাবেই দেখা দিয়েছে নানামুখী সমস্যা।
আতানু মিস্ত্রি নামের এক স্থানীয় জানায়, ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় আবেদ আলি প্রায় এক বছর ধরে দোকান করছেন। পরিষদের সমস্যা হলেও ওনাকে কিছু বলা যায় না। লোকটা একটু বদমেজাজী টাইপের তো! কেউ কিছু বললেই ঝগরা লেগে যায়। প্রায়ই বিভিন্ন মানুষের সাথে তার বাকবিতন্ডা হয় আবার ঠিকও হয়।
স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মজনু মিয়া বলেন, পরিষদের জায়গায় ফেরদৌস নামের একজনের পানের দোকান এবং আবেদ আলী নামের একজনের চায়ের দোকান আছে। চায়ের দোকানটি পরিষদের প্রবেশমুখে হওয়ায় যাতায়াতে অনেক সমস্যা হয়। এ ব্যাপারে ওনাকে কিছু বলা যায় না। বললে সম্মান থাকে না। তাই নিজের সম্মানের কথা চিন্তা করে কেউ কিছু বলে না। ওই দোকানদার জোর জবরদস্তি করেই ওখানে আছে।
ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ রফিকুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, আমি গতকাল সোমবার (১২ জুলাই) ৯ টার দিকে গিয়ে দেখি তার দোকানে অনেক জনসমাগম। তাই আমি তাকে বলছি যে করোনাকালীন সময়ে লকডাউন চলছে। এত রাত পর্যন্ত দোকান খোলা নিষেধ, এত রাত পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা যাবে না, এত জনসমাগমও করা যাবে না। তাতে আবার ইউনিয়ন পরিষদে দোকান। এই কথা বলার সাথেই আমাকে গালাগালি করে। অনেক খারাপ আচরণ করেছে।
অভিযুক্ত চায়ের দোকানদার আবেদ আলী বিটিসি নিউজকে বলেন, পরিষদে আরও অনেক দোকান আছে। আমার বাড়িতে ১৪ জন খাওয়াইয়া এই জন্যে চেয়ারম্যানকে বলিয়া করি খাওয়ার জন্যে দোকানটা দিছি। এলা চেয়ারম্যান যদি তুলি দেয় তা চলি যামো।
এ ব্যাপারে কেদার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, পরিষদের মাঠে তো অনেক দোকান আছে। একজনকে তুলে দিলে সবাইকে তুলে দিতে হবে। তাছাড়া শেষ সময়ে এসে আমি কিছু বলতে পারব না। আর ওই দোকানদারের জায়গা সিএনবি রোডে পড়েছে না ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় পড়েছে আমার জানা নেই। মাপলে বোঝা যাবে। যদি পরিষদের জায়গায় পড়ে থাকে তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর আহমেদ মাছুম বিটিসি নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। তবে যদি দোকানটি ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় হয়ে থাকে তবে আমি ইউপি চেয়ারম্যানকে বলব পরিষদের জায়গা রক্ষা করার জন্য। কেননা ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা রক্ষা এবং এর পরিচ্ছন্নতা রক্ষার দায়িত্ব চেয়ারম্যানের।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি মো. হাফিজুর রহমান হৃদয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.