নরেন্দ্র মোদিকে পাকিস্তানে আমন্ত্রণ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অক্টোবরের মাঝামাঝি ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালুচ জানান, এসসিও’র আসন্ন বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৈঠকে অংশ নিতে বিভিন্ন দেশের প্রধানদের আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে।
আগামী ১৫ ও ১৬ অক্টোবর এসসিও সরকার প্রধানদের বৈঠকের আয়োজন করবে পাকিস্তান। অনুষ্ঠানের আগে এসসিও সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আর্থিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং মানবিক সহযোগিতার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে একটি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হবে। একই সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হবে সিনিয়র কর্মকর্তাদের।
মুমতাজ জাহরা বালুচ বলেন, কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে বৈঠকে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। কোন কোন দেশ নিশ্চিত করেছে, তা যথাসময়ে জানানো হবে।
এদিকে, ভারতের বিশ্লেষকরা এই আমন্ত্রণকে কেবল একটি ‘প্রোটোকল’ হিসাবে দেখছেন। কেননা দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ। তাই মোদির আমন্ত্রণ গ্রহণ করার সম্ভাবনা কম।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একটি মন্ত্রী প্রতিনিধি দল নিয়োগ করতে পারেন। কেননা এসসিও বৈঠকে রাষ্ট্রপ্রধানদের অংশগ্রহণের প্রয়োজন হয় না। অতীতেও এসসিও সিএইচজির বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন মন্ত্রীরা, এবারও একই ধাঁচ।
এর আগে চলতি বছরের ৩-৪ জুলাই কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিত এসসিও’র ২৪তম বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেননি মোদি। তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
অপরদিকে পাকিস্তানি বিশ্লেষকরাও বলছেন, বৈঠকে যোগ দিতে মোদি পাকিস্তানে আসবেন বলে তারা আশা করছেন না। রাজনৈতিক বিশ্লেষক কামরান ইউসুফ বলেন, মোদি ইসলামাবাদে অবতরণ করবেন, এমনটা আমি দেখছি না। অন্যান্য সদস্য দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো একটি বাধ্যতামূলক প্রোটোকল, যে কোনো আয়োজক দেশ এটি অনুসরণ করে। পাকিস্তানও একই কাজ করেছে। এটাকে আমি ‘রাজনৈতিক স্টান্টবাজি’ হিসেবে দেখছি না। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.