নমুনা দেওয়ার ১০ দিন পর বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যানের কোভিড-১৯ শনাক্ত


নাটোর প্রতিনিধি: নমুনা দেওয়ার ১০ দিন পর নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও চিকিৎসক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী গতকাল রোববার রাতে জানতে পারলেন তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। কোনো উপসর্গ না থাকায় তিনি এত দিন পরিষদের দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের হাসপাতালে বহু রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন।

সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, তিনি স¤পূর্ণ সুস্থ আছেন। তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিন্দুমাত্র উপসর্গ নেই।

তবে প্রতিদিন তিনি নিজের ১০০ শয্যার পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে যেহেতু বহু রোগীর চিকিৎসাসেবা দেন, তাই ১৬ জুলাই নমুনা দিয়েছিলেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর রোববার রাতে তিনি সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারেন।

ফলাফল পজিটিভ আসা নিয়ে তিনি যতটুকু না চিন্তিত, তার চেয়ে বেশি চিন্তিত দেরিতে ফলাফল আসা নিয়ে।

সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি একজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। প্রতিনিয়ত আমাকে মানুষের সেবায় ব্যস্ত থাকতে হয়। বাহ্যিকভাবে সুস্থ থাকার পরও আমি তো কাউকে অসুস্থ আছি বলতে পারি না। তাই উভয় ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের উচিত ছিল আমার ফলাফলটা দ্রুত করিয়ে নেওয়া। তাঁরা তা না করে ১০ দিন পর ফলাফল জানালেন। এই কদিনে আমাকে শতাধিক মানুষের সং¯পর্শে যেতে হয়েছে। না জানি তাঁদের কী অবস্থা!’

জেলার সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, গত ১৬ জুলাই চিকিৎসক সিদ্দিকুর রহমানের নমুনা সংগ্রহের পর তাঁর নমুনা অন্যান্য নমুনার সঙ্গে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগে পাঠানো হয়েছিল।

গতকাল রোববার রাতে ৪৯টি নমুনার ফলাফল আসে। এতে তাঁরসহ ছয়জনের নমুনা পজিটিভ শনাক্ত বলে জানানো হয়। তিনি ছাড়া বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আসাদুজ্জামানের নমুনাও পজিটিভ এসেছে।

এ ছাড়া সিংড়ায় তিনজন ও নাটোর সদর উপজেলায় একজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.