নবীগঞ্জে বেচাকেনা নেই কর্মকার ব্যবসায়ীদের এবার, কোরবানির ঈদে টুং টাং করে বাজছে না হাতুরা সেনি

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: নবীগঞ্জে এবার কোরবানির ঈদে টুং টাং করে বাজছে না কর্মকার ব্যবসায়ীদের দোকানে। হাতুরা সেনি যেন গিয়েছে অবসরে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দা,চুরি তবল বানাতে আগের মত ব্যস্ত নেই এসব দোকানে।
কঠোর লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় বানাতে পারেননি চাহিদার পর্যাপ্ত পশু জবাই করার দা,চুরি। ঘর ভাড়া আর ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিনতায় তারা। দা,চুরি কিনতে আসা ক্রেতারাও খালি হাতে ফিরছেন অনেকে।
আজ শুক্রবার (১৬ জুলাই) নবীগঞ্জ শহরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোডে অবস্থিত কর্মকার ব্যবসায়ীদের সাথে সরেজমিনে কথা বলে এসব তথ্য জানাগেছে। সুকুমার চন্দ্র দেব, কর্মকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেক পরিচিতি একটি নাম ও পুরাতন ব্যবসায়ী।
তিনি জানান, এবারের ঈদে আমাদের দোকানে টুং,টাং করে হাতুরা সেনি আর বাজছে না। গত দুই সপ্তাহ কঠোর লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় ক্রেতাদের চাহিদার জিনিষ আমরা বানাতে পারছি না। ঈদেরও আর বেশি দিন বাকি নেই। এই সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। ঠিকমত বেচাকেনা নেই। আগের তুলনায় অনেক কম।
অপর ব্যবসায়ী চন্দ্রি দেব বিটিসি নিউজকে জানান, করোনার কারণে ক্রেতাদের চাহিদার পাটল ধরলো।
আমাদেরও লোকসানে পড়তে হলো। ব্যবসা বাণিজ্য হচ্ছে না। অন্যান্য কোরবানির ঈদে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বেচাকেনা হত। এবার ২ হাজারও হচ্ছে না।
নিকুঞ্জ চন্দ্র দেব নামে একই ব্যবসায়ী বিটিসি নিউজকে জানান, ক্রেতাদের দোকানে বসিয়ে রেখে কোরবানির পশু জবাই করার দা,চুরি বানাতে হচ্ছে। এতে করে সময়ও বেশি করে ব্যয় হচ্ছে। কোরবানির পশু জবাই করার জন্য দা,চুরি কিনতে আসা মনোয়ার নামে এক ক্রেতা বলেন, এবার পুরাতন চুরি দিয়েই পশু জবাই করার কাজ চালিয়ে নেব।
কারণ এখন যদি চাহিদা মত চুরি কিনতে হয় তাহলে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হবে। সেই সময় নেই। অন্যান্য সময়ের চেয়ে পশু জবাই করার দা,চুরি,কান্ডা,তবল,জবর চুরি,দাম একটু বেশি।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন তুলনামূলক দাম কমই আছে। এসব পণ্যের বাজার মূল্য জানান, ব্যবসায়ীরা। দা ২৫০/৫শ টাকা, চুরি ৫০/১শ টাকা, কান্ডা ৩শ/৯শ টাকা,জবর চুরি ২৫০/৪৫০ টাকা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি মোঃ আলাল মিয়া। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.