নবীগঞ্জে পাটা পুতাইল ঘষাঘষি মরিচের কাম সাড়া! ইউপি মেম্বারদের পাটার বলি ইউপি চেয়ারম্যান

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি: নবীগঞ্জে ইউপি মেম্বারদের পাটার বলি হয়েছেন নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা।
অনিয়মের দায়ে উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর বেরিয়ে আসছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অনুসন্ধানে জানা যায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণে প্রথমে অনিয়মের অভিযোগ উঠে ডিলার লিটন চন্দ্র দেবের উপর। পরবর্তীতে একই অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় ইউপি চেয়ারম্যান মুকুলকে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির হতদরিদ্র কার্ড ছিড়ে ফেলার ও অভিযোগ ওঠে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এদিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উপকারভোগীর একই কার্ড প্রথমে ডিলার এবং পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ছিড়ে ফেলার লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার পালের কাছে।
একই অভিযোগ উপস্থাপন করা হয় ভিন্ন ভিন্নভাবে। অভিযোগ দুটি গেটে দেখা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডধারী বনগাঁও গ্রামের ওয়াহিদ উল্লাগং মে মাসের ৪ তারিখ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তাদের কার্ডটি ডিলার কর্তৃক ছিড়ে ফেলার লিখিতভাবে অভিযোগ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে।
এ অভিযোগের ১০ দিনের মাথায় ১৪ মে ওয়াহিদ উল্লার স্ত্রী মিজবা বেগম ওয়াহিদ মিয়ার নামে ব্যবহৃত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডটি চেয়ারম্যান মুকুল কর্তৃক ছিড়ে ফেলার একই অভিযোগ দেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কাছে।
এক ব্যক্তির একই কার্ড দু’বার ছেড়ে ফেলার স্বামী স্ত্রীর অভিযোগ এ যেন লঙ্কাকাÐ! বিষয়টি নিয়ে মিশ্রপ্রক্রিয়া দেখা দেয় গজনাইপুর ইউনিয়নের দিনারপুর পরগনা।
বিষয়টি জানতে পেরে অসন্ধানে নামেন ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল।
অনুসন্ধানে চেয়ারম্যান মুকুল জানতে পারেন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা প্রণয়নের পর কার্ডে ব্যবহৃত প্রকৃত ব্যক্তিদের নাম কেটে নিজ ইচ্ছে অনুযায়ী প্রকৃত প্রণয়নের তালিকা থেকে নাম কলম দিয়ে কেটে অন্য নাম বসান ইউপি মেম্বার জাহেদ আহমেদ। এতে করে চরম বিপাকে পড়েন মুকুল।
অপরদিকে বয়স্ক,বিধাব,গর্ভবতী ভাতার নামে ব্যাপক প্রতারণার অভিযোগ উঠে মহিলা ইউপি মেম্বার সাফিয়া বেগমের বিরুদ্ধে। সাফিয়া বেগমের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগিরা। এ যেন পাটা পুতাইল ঘষাঘষি মরিচের কাম সাড়া।
ইউপি মেম্বারের অনিয়ম জালিয়াতির বিরুদ্ধে কাজ করতে গিয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার হন চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল। সর্বশেষ মেম্বার জায়েদ আহমেদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল নিজেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সকল জল্পনা আর সমালোচনার কেন্দ্র হয়ে ইউপি মেম্বার ও মহিলা মেম্বারের পাটার বলি হলেন ইউপি চেয়ারম্যান মুকুল। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুগ দেয় স্থানীয় রাজনীতি বলছেন সচেতন মহল। নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল অনেক নেতা পায়দা হাসিলে মরিয়া হয়ে উঠে।
এনিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোনা চলছে উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের পাহাড়ি অঞ্চল দিনারপুর পরগনা।
এব্যাপারে অনিয়মের দায়ে সাময়িক বরখাস্ত ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমি চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসল সত্য বেরিয়ে আসুক।
তিনি আরো বলেন, ইউপি মেম্বারদের অনিয়ম জালিয়াতির বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তাদের জালিয়াতির কারনে আজ আমার উপর দায় পড়েছে। ইমদাদুর রহমান মুকুল স্থানীয় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়ার কারনে নিজ দলের গ্ররুপিংয়ের দ্বন্দ্বের শিকার হয়েছেন বলে ও বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি মোঃ আলাল মিয়া। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.