নবীগঞ্জে কঠোর লকডাউনে জমে উটেছে পৌর পশুর হাট, মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি: কঠোর লকডাউনের মাঝেও জমে উটেছে নবীগঞ্জ ছালামতপুরস্থ পৌর পশুর হাট। সেখানে মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্য বিধি। ক্রেতা-বিক্রেতারা মাস্ক বিহীন অবস্থায় অবাধে পশু কেনাবেচা করছেন। এতে করোনা সংক্রামনের ঝুকিঁ রয়েছে। এতে বাজারের পার্শ^বর্তী গ্রামের মানুষ রয়েছে আতংকের মাঝে। যদিও ইজারাদার শহরে মাইকিং করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পশুর হাট বসার ঘোষনা দেয়। বাস্তবে তা মানা হচ্ছে না।
আজ মঙ্গলবার (০৬ই জুলাই) সকাল থেকেই নবীগঞ্জ শহরতলীর ছালামতপুর এলাকায় বসে পৌর পশুর হাট। সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষের উপছে পড়া ভীড় জমে ওই বাজারে। প্রায় ১৫টি চা ষ্টল খোলা হয়েছে ওই বাজারে।
উল্লেখ্য, দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করায় সরকার প্রথমে সারাদেশে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষনা করে। পরে সময় বর্ধিত করে ১৪ জুলাই পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সারাদেশের ন্যায় লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনীর সদস্য নীরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা ও আর্থিক জরিমানা। প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে কটোর অবস্থানে প্রশাসন। কটোর এই লকডাউনের মাঝে খোদ নবীগঞ্জ পৌর পশুর হাটে গরুর বাজার বসানোকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষসহ পাশর্^বর্তী ছালামতপুর গ্রামবাসীর মাঝে করোনা সংক্রামনের ঝুকিঁ’র আতংকে রয়েছেন।
কয়েক হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি ঘটে উক্ত বাজারে। এদের কারো মুখে মাস্ক নেই। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নেই কোন ভুমিকা। পৌর মেয়র কিছু মাস্ক বিতরণ করলেও তিনি চলে আসার সাথে সাথে মাস্ক বিহীন হয়ে পড়ে পুরো বাজার।
বিশেষজ্ঞরা জানান, যেখানে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে লোক সমাগম বেশী, সেখানেই করোনা সংক্রামন বৃদ্ধির ঝুকিঁ থাকে শতভাগ। এছাড়া প্রতিদিনই নবীগঞ্জে ৪/৫ জন করোনা পজেটিভ রোগী সনাক্ত হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে ৬ জনের করোনা পজেটিভ আসে। ইতিমধ্যে গত এক সপ্তাহে ২৯ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জন হাসপাতালে ও বাকীরা বাড়িতে আইনোলেশনে রয়েছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি মোঃ আলাল মিয়া। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.