নতুন নেতৃত্বে অপ্রতিদ্বন্দ্বী শি জিনপিং

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) ২০তম জাতীয় কংগ্রেস থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুন জিনতাওকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সামনেই অমার্জিত উপায়ে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এতে তৃতীয় মেয়াদে শির পার্টির ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চিত্রই ফুটে উঠেছে।
হংকং পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির গোপনীয়তা নিয়ে কেউ পুরোপুরি নিশ্চিত নাও হতে পারে; বাস্তবতা হলো শি জিনপিং হয়তো কংগ্রেস শুরুর আগে সর্বশেষ মতবিরোধের জায়গাগুলো সরিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু ২০১২ সালে পরিস্থিতি ছিল উল্টো। প্রেসিডেন্ট জিনতাও যখন ক্ষমতা ছাড়লেন এবং সিসিপির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়ে শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বের সুযোগ করে দিলেন, তখন তিনি সবার প্রশংসা পেয়েছিলেন।
পরবর্তীকালে হু জিনতাও নিজেকে আড়ালে রেখেছিলেন, যদিও শি জিনপিংয়ের মতবিরোধী অনেক কমিউনিস্ট গ্রুপের সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন। হু জিনতাওয়ের মেয়াদের অনেক মিত্রকে শি জিনপিংয়ের শুদ্ধি অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বিশেষ করে ২০১৫ সালে তার প্রধান সহযোগী লিং জিহুয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। হু তার নিজের মতবাদ সমর্থিত কমিউনিস্ট ইয়ুথ লীগের প্রাক্তন নেতাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন; যে দলকে কার্যকরভাবে ধ্বংস করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
কংগ্রেস থেকে জিনতাওকে বের করে দেওয়া নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো যে সম্ভাবনা দেখছে, তা হলো- “এটি হতে পারে পরিকল্পিত, আমরা কেবল শির স্বেচ্ছা জনসম্মুখে তার পূর্বসূরীকে অপমাণিত করার বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেছি…।”
এটি শির নিরঙ্কুশ ক্ষমতার বার্তা দিচ্ছে। ফরেন পলিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, “মনে রাখবেন, শি তার দায়িত্ব গ্রহণের সময় তার প্রারম্ভিক কাজের প্রতিবেদনে অত্যন্ত কঠোর ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। তখন তিনি ‘দুর্বল, ফাঁপা, এবং জলে ভেসে যাওয়া’ পার্টি নেতৃত্বের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন। যদিও সেখানে তিনি হু জিনতাও বা অন্য কারও নাম ব্যবহার করেননি।”
পার্টির নতুন স্থায়ী কমিটি এখন শির নেতৃত্বে সাতজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে ছয়জনকে প্রেসিডেন্ট শি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন করেছেন এবং তারা তার অত্যন্ত অনুগত ও ঘনিষ্ঠ। এই অদ্ভুত ‘গণতান্ত্রিক’ ব্যবস্থায় ভিন্নমতের কোনো স্থান নেই। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.