নতুন ডিক্রি জারি, দীর্ঘ বক্তব্যে যা বললেন পুতিন

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ঘোষণা দিতে শুক্রবার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি দীর্ঘ বক্তব্য দেন। 
বক্তব্যের শুরুতেই ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল দোনেৎস্ক, লুহানেস্ক, জাপোরিঝিয়া এবং খেরসনকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ঘোষণা দেন পুতিন।
এরপর ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযানে নিহত রুশ সেনাদের জন্য দুই মিনিট নিরবতা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
নিরবতা পালন শেষে পুতিন বলেন যেসব অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, সেগুলোতে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম চালানো হবে। নতুন স্থাপনা, হাসপাতাল, স্কুল গড়ে তোলা হবে।
এসময় তিনি জানান, এখন এগুলো রাশিয়ার অংশ। যে কোনো মূল্যে এগুলো রক্ষা করা হবে।
তাছাড়া অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হবে যেন এখানকার বাসিন্দারা নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারেন।
তিনি জনগণের রায় মেনে নিতেও ইউক্রেনের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই চারটি অঞ্চলকে নতুন করে গড়ে তোলার যে প্রতিশ্রতি তিনি দিয়েছেন এগুলো যেন ইতিবাচক হিসেবে নেওয়া হয়।
এরপর বিশেষ সামরিক অভিযান নিয়ে রুশ সেনাদের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের উদ্দ্যেশে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তিনি বলেন, সকল স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের বুঝতে হবে কেন এ বিশেষ সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে।
তাছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, ইউক্রেন আলোচনার টেবিল থেকে সরে গেছে। তাদের আলোচনার টেবিলে আসতে হবে। রাশিয়া এজন্য প্রস্তুত আছে।
এরপর পুতিন পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্দেশ্যে কথা বলেন। তিনি বলেন,  পশ্চিমারা আমাদের আক্রমণ করার উপায় খুঁজছে। তারা সবসময় চায় রাশিয়া টুকরো টুকরো হয়ে যাক। এরপর ছোট ছোট দেশগুলো একে অপরের সঙ্গে লড়াই করুক।
পশ্চিমাদের ‘লোভী’ বলেও অভিহিত করেন পুতিন। তিনি বলেন, পশ্চিমারা এখনো ঔপনিবেশিক চিন্তাভাবনা থেকে বের হতে পারেনি। তারা ঔপনিবেশিক ছিল, এখনো আছে। তারা চায় রাশিয়া তাদের নিচে থাকুক।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমারা রাশিয়াকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় না। তারা আমাদের চাকর হিসেবে দেখতে চায়। পশ্চিমাদের রাশিয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমাদের রাশিয়ার প্রয়োজন আছে।
তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা প্রথম শ্রেণির দেশ ও দ্বিতীয় শ্রেণির দেশ হিসেবে বিশ্বকে আলাদা করেছে।
পুতিন বলেছেন, পশ্চিমাদের এসব মানে না রাশিয়া। রাশিয়ার জনগণ তাদের কথায় চলে না।
বক্তব্যের শেষে পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে হাইব্রিড যুদ্ধে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বক্তব্য শেষে ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেন পুতিন। এরপর চারটি অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে সুর মেলান তিনি। (সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.