নড়াইলে অবৈধ সিম ফিঙ্গার স্ক্যানার ও বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ট্যাবসহ গ্রেফতার-২

 

নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে তিনটি মোবাইল ফোন, ১২৬টি অবৈধ সিম, ফিঙ্গার স্ক্যানার ও বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন ট্যাবসহ দুজন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান।
তিনি আরো জানান, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কলামনখালী গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে সবুুজ শেখকে (৩৫) যাদবপুর বাজার থেকে এবং খুলনা সদরের ট্রাফিক মোড় এলাকার আবুুল কালাম শেখের ছেলে মাহফুুজুর রহমানকে (২৩) রুপসা পশ্চিমঘাট এলাকা থেকে গত বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় সবুজ শেখের কাছ থেকে ৯০টি অবৈধ মোবাইল ফোন সিম এবং মাহফুুজুর রহমানের কাছ থেকে দু’টি করে বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন ট্যাব ও ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার এবং তিনটি মোবাইল ফোন সেট ও ৩৬টি অবৈধ সিম জব্দ করা হয়। সবুজ শেখ প্রতিটি সিম মাহফুজুর রহমানের কাছ থেকে ৬০০ টাকায় কিনে দেড় হাজার টাকা দামে কালিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করত বলে পুলিশকে জানিয়েছে। অনলাইনসহ বিভিন্ন ধরণের প্রতারণা করে আসছিল এ অবৈধ সিম ক্রেতারা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদীর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম তাদেরকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান জানান, ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর নড়াইল শহরের ভওয়াখালী এলাকার তৈয়ব আলী মোল্যা ‘ডিএসএলআর ক্যামেরা বাজার স্টোর’ নামে অনলাইন পেইজ থেকে ক্যামেরা কেনার জন্য আরেকটি প্রতারকচক্রকে পাঁচ হাজার টাকা দেন। অগ্রিম টাকা পাওয়ার পরও ওই প্রতারকচক্র ছলচাতুরির করে ক্রেতা তৈয়ব আলীকে ফাঁদে ফেলে আরো ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভাগী তৈয়ব আলী নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলী হোসেন তথ্য-প্রযুুক্তির সহায়তায় ক্যামেরা বিক্রির দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ক্যামেরা প্রতারকচক্রের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য নামে নিবন্ধিত মোবাইল ফোন সিম বিক্রেতাকে গ্রেফতারে অভিযানে নামে পুলিশ। একপর্যায়ে বুধবার রাতে অবৈধ সিম বিক্রির মূলহোতা মাহফুজুর রহমান ও সবুজ শেখকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ এবং সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
পুৃলিশ সুপারের এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, সদর থানার ওসি সাইফুল ইসলামসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।
এর আগে ৯ জানুয়ারি অনলাইনে পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আপন দুই ভাই শাহ জালাল শেখ (২৭) ও শাহ জামান শেখকে (২৩) বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস শেখের দুই ছেলে প্রায় এক বছর ধরে ‘ইলোরা ফ্যাশন’ নামে ফেইসবুক পেইজ খুলে বিভিন্ন পণ্য বিক্রির মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের নামে নড়াইলসহ ঢাকার কোতয়ালী ও হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলা আছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নড়াইল প্রতিনিধি মো. আকরাম হোসাইন আকমল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.