ধীরে ধীরে মহামারীর তীব্রতা বেড়েই চলেছে

(ধীরে ধীরে মহামারীর তীব্রতা বেড়েই চলেছে)
পূর্ব বর্ধমান (কলকাতা) প্রতিনিধি: ধীরে ধীরে মহামারীর তীব্রতা বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন দেশ সাধ্য মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভ্যাকসিনের। যদিও এখনো সকলে টিকা পাননি। টিকার ঘাটতি ক্রমশ বেশি হচ্ছে তবুও বিভিন্ন মেডিসিন বিভাগ দিনরাত তাদের কর্তব্য পালন করে চলেছেন।
ইতিমধ্যে তিন ধরনের ভ্যাকসিন আমাদের কাছে চলে এসেছে কোভিশিল্ড (Covishield),কো-ভ্যাকসিন (Co-vaccine),স্পুটনিক ভি (Sputnik -V)। আবার কোথায় নতুন নামে ফাইজার (Pfizer) টিকা তথা করোনা ভ্যাকসিন।
মারণ ভাইরাস করোনার হাত থেকে রক্ষা পেতে ছোট থেকে বড় সবার জন্যই টিকাকরণ বাধ্যতা মূলক করেছেন সরকার।কোথাও কোথাও আবার সরকারি পরিষেবা ছাড়া বেসরকারি পরিষেবা তেও ভ্যাকসিনেশনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ভারতে কোভিশিল্ডের পাশাপাশি কোভ্যাকসিন কর্যত ভালো ফল হিসেবে সারা পেয়েছে।সম্প্রতি এই দুটি টিকার পাশাপাশি রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ও এই তালিকায় চলে এসেছে।
তবে রাশিয়ার টিকা ভারতীয় সংস্করণে কতটা কার্যকর হবে সেটা নিয়েই পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ দেশের চিকিৎসকরা অবিলম্বে তাদের পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছেন। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে হায়দ্রাবাদ বেসড ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা হেটেরো (Hetero Healthcare Ltd) দ্বারা নির্মিত স্পুটনিক ভি ট্রায়াল শুরু হয়ে গেছে। এটি কয়েক জনের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে। একদিকে হেটেরো কর্তৃক স্পুটনিক ভি অপর দিকে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি উভয়ই কিছুজনের শরীরে প্রয়োগ করে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাদের  পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
পূর্ব ভারতে একমাত্র কলকাতাতেই এই ট্রায়াল সংগঠিত হচ্ছে। ট্রায়ালের তদারকি ও সহযোগিতার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক স্নিগ্ধা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেবারতি জানিয়েছেন, “হেটেরো প্রস্তুতি স্পুটনিক ভি ট্রায়ালের জন্য কলকাতায় ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেলেও শরীরের পক্ষে অনেকই উর্ত্তীত হতে পারেন নি।সে সমস্ত মানুষদের ট্রায়ালের আওতায় আনা হচ্ছে না “।
টিকা করণের দায়িত্বে থাকা ডক্টর শুভ্রব্রত ভৌমিক বলেছেন, “রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভারতে অনেক কম আসছে তাই হোটেরো কর্তৃক স্পুটনিক ভি কার্যত ভালো সাড়া পেলে ভারতে টিকার ঘাটতি অনেকাংশই কম হবে”।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর পূর্ব বর্ধমান (কলকাতা) প্রতিনিধি সরস্বতী বিশ্বাস #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.