বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ক্যারিয়ারে সবশেষ এক বছরে কত রকম অভিজ্ঞতাই না হলো মার্কাস র্যাশফোর্ডের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে অ্যাস্টন ভিলায় গিয়ে অন্ধকার গলি শেষে যেন আলোর দেখা পান তিনি। আর এখন বার্সেলোনার জার্সিতে নিজের সেরা রূপে ফেরার আভাস দিচ্ছেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। স্প্যানিশ ক্লাবটি তার মনেও জায়গা করে নিচ্ছে। তাইতো, ধারের চুক্তি শেষে এখানে থাকতে চান র্যাশফোর্ড।
আগামী বছরের গ্রীষ্মে দুই কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড ট্রান্সফার ফি দিয়ে র্যাশফোর্ডকে পাকাপাকিভাবে কিনে নেওয়ার সুযোগ থাকবে বার্সেলোনার, যেখানে অন্য ক্লাবের কাছে ইউনাইটেড চাইবে চার কোটি পাউন্ড।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে র্যাশফোর্ডের চুক্তির মেয়াদ ২০২৮ সাল পর্যন্ত। আর সেখানে হুবেন অ্যামুরি কোচ থাকাকালীন র্যাশফোর্ডের দলে জায়গা পাওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই।
তাই চলতি মৌসুমের পরও কি বার্সেলোনায় থাকতে চান?- এমন প্রশ্নের উত্তরে ইএসপিএনকে র্যাশফোর্ড বলেন, “অবশ্যই চাই।”
“এই ফুটবল ক্লাবে আমি নিজেকে উপভোগ করছি এবং আমার মনে হয়, যারা ফুটবল ভালোবাসে তাদের ক্ষেত্রেও বিষয়টা তাই। ফুটবলের ইতিহাসে বার্সেলোনা বড় ক্লাবগুলোর একটি। একজন খেলোয়াড়ের জন্য এখানে থাকতে পারাটা সম্মানের।”
ইউনাইটেডের যুব দল হয়ে মূল দলে উঠে আসা র্যাশফোর্ডের মূলত অ্যামুরি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে কোচ হয়ে আসার পর উল্টো পথে যাত্রা শুরু। এই পর্তুগিজ কোচের কাছে পুরোপুরি ব্রাত্য হয়ে পড়েন তিনি। তবে গত মৌসুমের শেষ ভাগে অ্যাস্টন ভিলায় গিয়ে নিজেকে আবার ফিরে পেতে শুরু করেন ২৭ বছর বয়সী ফুটবলার।
এরপর গত জুলাইয়ে ধারের চুক্তিতেই বার্সেলোনায় যোগ দেন র্যাশফোর্ড এবং অল্প সময়েই সেখানে কোচ হান্সি ফ্লিকের আস্থা অর্জন করে নেন। কাতালান ক্লাবটিতে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচ খেলে পাঁচটি গোল করেছেন, এর মধ্যে গত মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে করেন জোড়া গোল।
আগামী রোববার মৌসুমের প্রথম ক্লাসিকোয় রেয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি খেলতে প্রস্তুত র্যাশফোর্ড। তার বিশ্বাস, পারিপার্শ্বিক সবকিছুর বদল তার ক্যারিয়ারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
“মানুষ এটা ভুলে যায়, তবে আমার জীবনের ২৩টি বছর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে কেটেছে। তাই কখনও কখনও একটা পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। আমার মনে হয়, আমার ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে এবং আমি সবকিছু উপভোগ করছি।” #

















