ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো ইরান

(ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো ইরান–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করার প্রস্তাব প্রত্যাখান করে দিয়েছে ইরান। গতকাল শনিবার (০৩ এপ্রিল) রাষ্ট্র পরিচালিত প্রেস টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খতিবজাদেহ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে তথ্যটি জানানো হয়েছে।
ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, তেহরান চায় ওয়াশিংটন যেন সকল নিষেধাজ্ঞা একসঙ্গে প্রত্যাহার করে নেয়। অন্যথায়, ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াকে প্রত্যাখ্যান করছে ইরান।
এদিকে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় যাওয়ার কথা রয়েছে ওয়াশিংটন ও তেহরানের প্রতিনিধিদের। সেখানে ২০১৫ সালে ইরান ও বিশ্ব শক্তিগুলোর মধ্যে স্বাক্ষরিত হওয়া পরমাণু চুক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করার ব্যাপারে উভয়পক্ষের মাঝে পরোক্ষভাবে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফ্রান্স বলেছে, আসন্ন সপ্তাহে ভিয়েনায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় তারা যেন গঠনমূলক অবস্থান প্রদর্শন করে। এরপরই তেহরানের কূটনীতিকের কাছ থেকে এমন মন্তব্য এলো।
ইউরোপীয়ান কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা ওইদিন একই শহরে অবস্থান করলেও তাদের এক রুমে সাক্ষাৎ হবে না। তবে উভয়ের উপস্থিতিতে পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে আসার ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলছে, আগামী সপ্তাহে ভিয়েনায় অংশগ্রহণকারীরা তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও পরমাণু চুক্তিকে পুনরায় সচল করার ব্যাপারে আলোচনা করবেন।
গত শুক্রবার চুক্তিতে থাকা বাকি দেশগুলো ইরান, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ব্রিটেন এক বৈঠকে মিলিত হয়েছে। বৈঠক শেষে ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেন, ভিয়েনায় তেহরানের সঙ্গে কোনো আলোচনায় অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। তবে ওয়াশিংটন পদক্ষেপ নিলে ইরানও শর্তগুলো বিবেচনা করবে।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে পরমাণু চুক্তি থেকে বের করে নিয়ে আসেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই ইরানের ওপর অর্থনীতি, অস্ত্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তবে বাইডেন প্রশাসনের অধীনে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। (সূত্র: রয়টার্স)। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.