ঢাকা প্রতিনিধি: আসন্ন আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এরমধ্যে সাড়ে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান, ৬ লাখ টন সেদ্ধ চাল ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতি কেজি আমন ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪ টাকা আর সেদ্ধ চাল কেনা হবে ৫০ টাকা এবং আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি দরে। ধান ও চালের এ দাম গত বছরের তুলনায় কেজি প্রতি ৪ টাকা বেশি।
আগামী ২০ নভেম্বর থেকে সারাদেশে আমন মৌসুমের ধান-চাল কেনা শুরু করবে সরকার। এই সংগ্রহ অভিযান চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
রোববার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভা শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০ নভেম্বর থেকে সারাদেশে আমন মৌসুমের ধান-চাল কেনা শুরু করবে সরকার। এই সংগ্রহ অভিযান চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ধান যদি কৃষক বিক্রি করতে না পারে তখন চাতালের লোকজন কম দামে নিয়ে যায়। গত বছর ২৫ হাজার মোট্রিক টন ধান কেনা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মূল্যস্ফীতি কমেছে। আমরা চেষ্টা করছি খাদ্যের প্যাকেজটা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে। এজন্য আপনারা জানেন যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে বছরে ৬ মাস ৫৫ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হয়। টিসিবির ৮০ লাখ লোককে দেওয়া হয় এবং ওএসএস থেকে ৩০ টাকা দরে বছরে দুবার চাল দেওয়া হয়। সর্বমোট ২ কোটির বেশি লোক এই সুবিধা পেয়ে থাকে। এ ছাড়া জেলে পরিবারদের জন্য বিশেষ ভিজিএফ দেওয়া হয়। সেটা বিনামূল্যে দেওয়া হয়। সেখানে সময় বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, চালের দাম সহনীয়। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি কমেছে, খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এটা বাস্তবতা, এজন্য সেদ্ধ চাল আমদানি করা হচ্ছে। বেসরকারি খাত চাল, গম আমদানি করে বিধায় দাম স্থিতিশীল আছে। সার্বিকভকবে আমরা বলতে পারি খাদ্য পরিস্থিতিটা মোটামুটি সন্তুষজনক। আমরা যাওয়ার আগে মোটামুটি ভালো একটা পরিস্থিতি রেখে যেতে পারবো।
এ সময় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাস মজুমদার বলেন, আমরা এ বছর আমন ধান সংগ্রহ করবো ৫০ হাজার মেট্রিক টন। সেদ্ধ চাল সংগ্রহ করবো ৬ লাখ মেট্রিক টন এবং আতপ চাল সংগ্রহ করবো ৫০ হাজার মেট্রিক টন। আমরা চেষ্টা করবো লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে। কৃষকের স্বার্থ দেখে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩৪ টাকা কেজি ধান, ৫০ টাকা কেজি সেদ্ধ চাল ও ৪৯ টাকা কেজি দরে আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে। আশা করছি, লক্ষ্যমাত্রার বেশি সংগ্রহ করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা গত বছর বোরোতেও লক্ষ্যমাত্রার বেশি সংগ্রহ করতে পেরেছি। ফলে আমরা আশাবাদী যে এ বছরও বেশি সংগ্রহ করতে পারবো।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মো. আকরাম হোসেন। #

















