ধর্ষন ও গর্ভপাত মামলার বাদীপক্ষকে হুমকি

প্রতীকী ছবি
পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড় সদর উপজেলার কানাপাড়া এলাকায় ধর্ষন ও তার সম্মতি ছাড়া গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে, করা মামলায় ছলেমান ও হাবিবুর হাজতে থাকলেও, তার স্বজনদের মামলা তুলে নিতে বাদীপক্ষকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে থানায় সম্প্রতি একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন কানাপাড়া এলাকার ভুক্তভোগী ওই মামলার স্বাক্ষী জসিম উদ্দিন।
জিডিতে উল্লেখ করেছেন, আসামি হাবীবুর রহমানের পরিবারের লোকজন ও বন্ধু হামিদুল, সাহাব উদ্দিন, আজিজার রহমান ও মনির মারপিট, সুযোগ পেলে খুন ও জখম করার হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এতে বাদী ও স্বাক্ষীর পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আসামীদের সুষ্ঠু বিচার দাবী জানান পরিবারসহ স্থানীয়রা।
জানা যায়, মেয়ে স্কুল পড়ুয়া। ছলেমান বলেয়াপাড়া বাজারে, হাবিবুর ঠেকরপাড়া বাজারে দোকান করে। তার সুবাধে ছলেমান প্রায় হাবিবুরের দোকানে আড্ডা দেয়। দোকানের সামনে দিয়ে স্কুল যাতাযাতের সময় ছলেমান তার স্ত্রী সন্তান গোপন রেখে প্রেম ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসতো।
হাবিবুর মেয়ের চাচীর বোনের স্বামী (সম্পর্কে খালু) তার সহযোগিতায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের। পরে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে দৈহিক সম্পর্ক করলে,সেই ছবি ও ভিডিও গোপনে ধারন করে হাবিবুর যুবতির সাথে ব্লাকমেইল করে একাধিকবার ধর্ষন করে। এক পর্যায়ে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে বমি করে। সে কথা তাদেরকে জানায়।
পরে তারা দুজনেই পূর্ব পরিকল্পনামতে গর্ভপাত করানোর জন্য ঔষধ নিয়ে এসে বমি হবেনা বলে ঔষধ খাওয়ায়।
পরেরদিন সকালে পেটের ব্যাথা ও রক্তপাত হলে হাসপাতালে নেয়া হলে,তার অপরিপক্ব মৃত শিশু জন্ম হয়।
এ ঘটনায় ৪ মে সদর থানায় ধর্ষণ ও সহায়তা এবং নারীর সম্মতি ছাড়ায় গর্ভপাত করানোর অপরাধে, সদর উপজেলার পূর্ব শিংপাড়া এলাকার মৃত আবু তালেব এর ছেলে ছলেমান আলী ও কানাপাড়া এলাকার আজিজার রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব বিরুদ্ধে  মামলা দায়ের করেন আক্কেল আলী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, আসামী দুজনই হাজতে। বাদী বিবাদী পরস্পর আত্মীয়। ছলেমানের ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছে। মামলার তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসাইন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.