দ্রুত ওজন কমাতে বাড়িতেই সব্জির জুস বানিয়ে ফেলুন

 

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: ওজন কমানোর কথা মাথা এলেই আমরা আমরা প্রথমে ডায়েট আর এক্সারসাইজের কথাই ভাবি। কিন্তু, প্রতি দিন স্ট্রেস ও কাজের চাপে প্রায়শই রুটিন এক্সারসাইজে ভাটা পড়ে। আর রোজকার ডায়েট? সে তো কিছু দিনের মধ্যেই ভ্যানিশ।

রেজোলিউশন ভেঙে ফের আমরা ঝুঁকে পড়ি পিৎজা, পাস্তা, মিষ্টি, চিপস, প্রসেসড ফুডসের দিকে। ফল হয় যে কে সেই। তাই খাই খাই মনকে বশে এনে কী ভাবে কমাবেন ওজন? ডায়েটে স্বাস্থ্যকর খাবারও থাকবে, আবার বাঙালির রসনাও পরিতৃপ্ত হবে, সেই সঙ্গে কমবে ওজন—এই তিনের কম্বিনেশন যদি কাজ করে যায় তাহলে তো কেল্লাফতে! চলুন দেখেনি অতিরিক্ত পরিশ্রম ছাড়াই বাড়িতে বসে কী ভাবে ঝরাবেন মেদ? রইল কিছু ঘরোয়া টোটকা।

টোম্যাটোর জুস: টোম্যাটোয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তা যেমন ত্বকের জন্য ভাল, তেমনি পুষ্টিকর ডায়েট। টোম্যাটোতে ক্যালরির মাত্রা খুব কম থাকে, পাশাপাশি থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড লাইকোপিন যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন টোম্যাটোর জুস বানিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকেও রেহাই মেলে। এর ফাইবার অনেকক্ষণ অবধি পেট ভর্তি রাখে, ফলে বারে বারে খাওয়ার প্রবণতা কমে। নিউট্রিশনিস্টদের মতে টোম্যাটোর কারনিটিন ৩০ শতাংশ অবধি ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে।

কী ভাবে বানাবেন টম্যাটোর জুস:

টোম্যাটো ভালভাবে পেস্ট করে নিন। দু’কাপ জলে লেবুর রস, নুন আর টোম্যাটোর পেস্ট মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ভাল করে মিক্স করে নিন। প্রতিদিন নিয়ম করে এই জুস খান আর তফাৎ দেখুন।

লাউয়ের জুস: লাউয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা শুধু হজম শক্তি বাড়ায় না, পেটের যাবতীয় রোগ নির্মূল করতেও সাহায্য করে। গরমের সময় নিয়মিত ডায়েটে লাউ রাখলে ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে রেহাই মেলে। ভিটামিন এ সি, কে-র পাশাপাশি লাউতে থাকে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম, ক্যাসলসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক ও ম্যাগনেসিয়াম যা শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, কোলেস্টেরল দূর করে।

কী ভাবে বানাবেন লাউয়ের জুস:

লাউয়ের খোসা ছাড়িয়ে ভিতর থেকে বীজগুলো বার করে নিন। এ বার মিক্সারে ছোট ছোট টুকরো করা লাউয়ের সঙ্গে অল্প আমলা, আদা, মিন্ট পাতা, নুন ও জিড়ে গুঁড়ো মিশিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এ বার ওই মিশ্রণে লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত খেলে মেদ ঝড়তে বাধ্য।

শশার জুস:  শশার রয়েছে বহুবিধ গুণ। এর উপকারিতা আলাদা করে বলার কিছু নেই। শশাতে ক্যালোরির পরিমাণ প্রায় নেই বললেই চলে, তাই ওবেসিটি থেকে ডায়াবিটিস যে কোনও রোগেরই উপযুক্ত পথ্য হল শশা।

কী ভাবে বানাবেন শশার জুস:

শশা ভালভাবে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এ বার মিক্সারে ছোট ছোট টুকরো দিয়ে ভালভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এ বার ওই মিশ্রণ ভাল করে ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে শশার জুস।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.