দোকান অর্ধেক খোলা রেখে চলছে মিষ্টির ব্যবসা !!!

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: দোকান গুলোতে নভেল করোনাভাইরাস সতর্কতায় নেই প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা। এরই মধ্যে দোকান অর্ধেক খোলা রেখে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে মিষ্টির ব্যবসা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয়েছে মিষ্টির হাড়ি।
এই মহামারীতে দোকান মালিক ও মিষ্টির কারিগরদের অসচেতনতা দেখে সুশীল সমাজে দেখা দিয়েছে মিশ্র-প্রতিক্রিয়া। মিষ্টির মান নিয়ে ও উঠছে নানা প্রশ্ন? এদিকে প্রশাসনের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার দোকানপাট।
শুধুমাত্র ফার্মেসী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান গুলো কিছুটা খোলা রয়েছে। জনসমাগম এড়াতে ও সাধারণ জনগনকে সতর্ক করতে কাজ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী। শহরজুড়ে রয়েছে টহল অব্যাহত। প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে কিছু অসাধু মিষ্টি ব্যবসায়ীরা আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা।
আজ শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে সরজমিনে নবীগঞ্জ শহরের মধ্যবাজারে অবস্থিত অনুরাগ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরী ও বিক্রি করতে দেখা যায়। এসময় দোকানের ম্যানেজার ও স্টাফদের মধ্যে কেউই মাস্ক পড়েননি।
একত্রিত হয়ে আড্ডা দিতে দেখা গেছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে অনুরাগ হোটেল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করেন।
এছাড়া ও নবীগঞ্জ শহরের মিস্টান ভান্ডার, তৃপ্তি  স্ন্যাকসবার,শ্রী গোবিন্দা’স হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এসব দোকান অর্ধেক খোলা রেখে মিষ্টির ব্যবসা করতে দেখা যায়। মিষ্টি তৈরী নিয়ে জনমনে একই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কারিগররা কি নিয়মিত হাত ধুয়ে মিষ্টি তৈরী করছেন? অবশ্যই না।
তবে কতটুকু নিরাপদ এই মিষ্টি এই সময়ে। সারা বিশ্ব মহামারী করোনাভাইসে আজ উৎকন্ঠায়। সতর্ক থাকতে বাড়ির বাহিরে ও সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে থাকতে বলা হচ্ছে। তবে মিষ্টির কারিগররা মাস্ক বিহীন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরী করে কতটা বিপদ ডেকে আনছেন?
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি মোঃ আলাল মিয়া। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.