দেশে চলমান মেগা প্রকল্পর মালামাল নিয়ে ৩টি জাহাজ মোংলা বন্দরে


বাগেরহাট প্রতিনিধি: দেশে চলমান মেগা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু ও রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র মেশিনারিজ ও মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে তিন বিদেশী জাহাজ।
রবিবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ও দুপুরে এসব জাহাজ বন্দরে নোঙ্গর করেছে। সকালে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর তিন হাজার ৩৫২ দশমিক ৩৮৯ মেট্রিকটন স্টিল পাইপ নিয়ে বন্দরের সাত নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করে পানামা পতাকাবাহী ‘এমভি কুই ইয়া শান’ জাহাজ।
একই সময়ে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চার হাজার ৭১৬ দশমিক ২৬ মেট্রিক টন মেশিনারিজ নিয়ে বন্দরের আট নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ ‘লিবার্টি হারভেস্ট’। পরে দুপুরে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিন হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন মেশিনারি পণ্য নিয়ে রুশ পতাকাবাহী ‘এমভি কামিল্লা’ নামের আরও একটি জাহাজ বন্দরে নোঙ্গর করে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এমভি কুই ইয়া শান নামের বিদেশী জাহাজের শিপিং এজেন্ট হক অ্যান্ড সন্সের খুলনা অফিসের কর্মকর্তা মো. শওকত আলী বলেন, ২৩৮ প্যাকেজে তিন হাজার ৩৫২ মেট্রিক টন পণ্য নিয়ে জাহাজটি বন্দর জেটিতে নোঙ্গর করেছে। জাহাজে আসা পণ্যগুলো খালাসের প্রক্রিয়া চলছে।
রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারি পণ্য নিয়ে আসা বিদেশি জাহাজ লিবার্টি হারভেস্ট-এর শিপিং এজেন্ট ইন্টারপের্টের পরিচালক মো. শাহীন ইকবাল বিটিসি নিউজকে বলেন, রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল আট নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করেছে। চারদিনের মধ্যে এসব পণ্য পুরোপুরি খালাস করা সম্ভব হবে। খালাস শেষে সড়ক ও নৌ-পথে পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে।
রুশ পতাকাবাহী এমভি কামিল্লার শিপিং এজেন্ট কনভেয়ার শিপিং লাইন্সের ম্যানেজার অপারেশন সাধন কুমার চক্রবর্তী বিটিসি নিউজকে বলেন, এ জাহাজে তিন হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন পণ্য আনা হয়েছে। খালাস শেষে এসব পণ্য রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বিটিসি নিউজকে বলেন, দেশের নির্মাণাধীন প্রায় সব মেগা প্রকল্পের মালামাল মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হচ্ছে। দ্রুত সময়ে আধুনিক পদ্ধতিতে দক্ষ জনবল দিয়ে এসব পণ্য খালাস হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এ বন্দর ব্যবহারে আরও বেশি আগ্রহী হচ্ছে বলে জানান বন্দরের এ শীর্ষ কর্মকর্তা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি মাসুম হাওলাদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.