নিজস্ব প্রতিবেদক: পতিত সরকারের স্বৈরাচার খুনি হাসিনা প্রান ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার অনেক দোসররা এখানো এদেশে ঘাপটি মেরে বসে থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছে। দেশে তারা নানা ধরনের বিশৃংখলা ও সংকট তৈরী করছে। নির্বাচন পেছনোর নিয়েও তারা কাজ করছে। এ অবস্থায় দেশের সংকট নিরশনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কোন বিকল্প নাই বলে উল্লেখ করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন।
তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে পবা উপজেলা পারিলা ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে হাট রামচন্দ্রপুর কলেজ মাঠে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলের আন্দোলনকে হাইজাক করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এটা মানুষ কোনভাবেই মেনে নেবেনা। দেশের মানুষ এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায়। এই নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোকে নিয়ে দীর্ঘ সতের বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে। সে আন্দোলন এখানো শেষ হয়নি। নির্বাচন দেয়ার কথা বললেই কিছু কিছু দলের গাত্রদাহ হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা বাধা প্রদান করছে তারা ইতোমধ্যে নির্বাচন করার জন্য প্রার্থী সিলেকশন এবং নির্বাচনী ক্যাম্পেইন শুরু করে দিয়েছে। তারা মনে করছে নির্বাচন পেছালেই তারা সংসদে যেতে পারবে। এত সহজ নয়।
মিলন বলেন, বিএনপিকে বাংলাদেশের মানুষ চারবার সংসদে পাঠিয়েছে। তাহলে বিএনপি নির্বাচন চাইবে না। অন্যদল নির্বাচন চাইবে। বিএনপি হচ্ছে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। আপোষহীন নেত্রী এখন সবার উর্ধ্বে উঠে গেছেন। তিনি কোন প্রকার সংঘাত না করে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের কথা বলেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। সংকট নিরশনে দেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনুস বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন।
আজ সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জেষ্ঠ্য পুত্র তারেক রহমানের সাথে ওয়ান টু ওয়ান মিটিং হবে। এই মিটিং এর দিকে জাতী তাকিয়ে আছে বলে জানান মিলন।
তিনি আরো বলেন, আগামী বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে মুসলমানদের বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান হবে। এছাড়াও নির্বাচন শুরু করলে পঁয়তাল্লিশ দিন সময় দিতে হয়। কিন্তু সে সময়ে রোজা এবং ঈদ হবে। এ সময়ে নির্বাচন কোনভাবেই সম্ভব নয় উল্লেখ করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দাবী করেন তিনি। এটা নিয়ে কোন তালবাহানা চলবেনা বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা বলে সাপ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন তিনি।
পারিলা ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক রেজাউল করিম এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মোকলেসুর রাহমান রেন্টুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য শেখ মকবুল হোসেন, পবা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ, আব্দুস সালাম মাস্টার, স্বেচ্ছাসেবক দল রাজশাহী জেলা শাখার আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি’র আহŸায়ক মজিবুর রহমান, সদস্য সচিব বাদশা মিয়া, হুজুরীপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন, সদস্য সচিব মোতাহার হোসেন, হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব সান্নান, দামকুড়ুরা ইউনিয়ন বিএনপি’র আহŸায়ক এনামুল হক কনক, সদস্য সচিব নওশাদ আলী, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন, সদস্য সাহেব জাদা, পবা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুন আক্তার, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তাইজুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা ও হাবিবুর রহমান, পবা উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব তরকিুল ইসলাম সুইট ও পবা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান।
এছাড়াও বিএনপি, অঙ্গ ও সহযেগি সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.