দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত ……. প্রধানমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির সমালোচনার জবাবে পিছু না হটার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন, আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ, আরও উন্নয়ন করতে চাই। আওয়ামী লীগ পালায় না, পিছু হটে না। আপনাদের নেতারা পালায়।
রবিবার (২৯ জানুয়ারী) বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে। অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি রাজশাহীর মানুষের জন্য। রাজশাহীতে ১০ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার উন্নয়ন করা হয়েছে। ৪ হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে। ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করে উপহার হিসেবে দিয়ে গেলাম। আমরা জনগণের কল্যাণে করি।
শেখ হাসিনা বলেন, নৌকায় ভোট না দিলে দেশ স্বাধীন হত না। দেশ স্বাধীন না হলে জিয়াউর রহমান মেজর জেনারেল হত না, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হতে পারত না। সেই নৌকার ওপর এত রাগ কেন। জনগণ নৌকায় ভোট দিয়েছে বলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। কোনো মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাবে না। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বলেন, জিয়াউর রহমান বাধা দিয়েছিল আমাকে দেশে আসতে দেবে না। আমি বাধা অতিক্রম করেই দেশে ফিরেছিলাম। আবার ২০০৭ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসে তখনো আমি বিদেশে গিয়েছিলাম, আমার ছেলের বউ অসুস্থ ছিল। আমাকে দেশে ফিরতে দেবে না। আমি জোর করে দেশে ফিরে এসেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মার্ডার কেস দেয়া হয়েছিল। আমি বলেছি, আমি যাব। এই কেস আমি মোকাবিলা করব। আমি দেশে ফিরে এসেছি শুধু বাংলার মানুষের কথা চিন্তা করে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল কুরআন শরীফ আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য গঠন করেছি কল্যাণ ট্রাস্ট। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে জনসভায় নৌকা মার্কায় ভোট আহবান করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় হাত উচিয়ে ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতি করেন জনসভায় উপস্থিত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা।
জনসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহল ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এখন সরকারকে পালাতে বলে। সরকার নাকি পালানোর পথ খুঁজে পাবে না! এ সময় বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব পালিয়ে তো আছেন আপনারা। তারেক রহমান আর রাজনীতি করবে না, মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে আছে। দÐিত পলাতক আসামি আপনাদের নেতা। তারেক রহমান পালিয়ে বেড়ায়। আমরা পালাতে জানি না।
তিনি বলেন, এ দেশে জন্ম নিয়েছি, এই দেশেই মরবো। পালাবো না। প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠবো। কি জায়গা দেবেন? না হলে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়ি আছে না, ওই বাড়িতে গিয়ে উঠবো।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যদের মাঝে রক্তব্য রাখেনÑ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, রাজশাহী বিভাগের আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন প্রমূখ।
জনসভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা তাকে সহযোগিতা করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার। এদিন সকাল থেকে জনসভা মাঠে জড়ো হন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
রাজশাহী মাদরাসা মাঠের বাইরে আশপাশের এলাকাগুলোতেও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। নগরীর অধিকাংশ দোকানপাট ছিল বন্ধ। জনসাধারণের চলাচল ছিল খুবই কম। কড়া অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি জি, এম হাসান ই-সালাম (বাবুল) রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.