দেয়াড়া-দৌলতপুর বাজার খেয়াঘাটে পাকা ঘাট সংস্কারের উদ্যোগ নেই আছে নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ


বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি: দেয়াড়া-দৌলতপুর বাজার খেয়াঘাটের পাকা ঘাটটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই আছে স্বেচ্ছাচারিতা, নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ। প্রতিনিয়ত স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আগত যুব মহিলাদের মানসিকভাবে নির্যাতিত হতে হয় ঘাটে কর্তব্যরত ইজারাদারদের কর্মচারী ও দৌলতপুর বাজারের চিপাগলির অসংখ্য দোকান কর্মচারিদের দ্বারা। ভোগান্তিতে পড়তে হয় মালামাল নিয়ে ঘাটে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে। এ সব কারণে পারাপার যাত্রীদের দাবী সোচ্চার হচ্ছে ঘাটটির শহর তীর স্থানান্তরের।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাটের পূর্ব পারে ও পশ্চিম পারে দুইটি পাকাঘাটই ভেঙ্গে ও স্টেপগুলো সমান হয়ে যাওয়াসহ পূর্ব ঘাটে ট্রলার থামাতে না পারার কারণে পারাপার যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে।
যে কারণে খুলনা জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন দেয়াড়া-দৌলতপুর বাজার খেয়াঘাট এবং দুই পারের পাকা ঘাট মেরামতের জন্য ৫ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ দিয়ে ঘাটটি মেরামতের জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়। উক্ত খেয়াঘাটের মেরামতের কার্যাদেশ পায় খুলনার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামান ট্রেডার্স।
মেসার্স জামান ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী ঘাট মেরামতে চরম অনিয়ম ও দুর্ণীতির মাধমে বরাদ্দকৃত ৫ লাখ টাকা খরচ না করে যেনতেনভাবে ঘাটের পশ্চিম পারের পাকা জেটিটির সংস্কার কাজ করেছেন। যা এখনই ওঠানামার ক্ষেত্রে চরম ঝুকি। প্রতিনিয়ত পারাপার যাত্রীদের দুর্ঘটায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে। কারো হাত ভাঙ্গছে, কারোবা পা। সঙ্গে থাকা মালামাল যাচ্ছে নদীতে।
বিজ্ঞমহলের অভিমত ঘাটে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা খরচ করেছেন। বাকী টাকা জেলা পরিষদের প্রধান কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব আলম ও ঠিকাদার (জামান ট্রেডার্সের মালিক) আত্নসাৎ করেছেন।
উক্ত ঠিকাদার কাজ শুরু করার আগে ঘাট বেশ কিছুদিন বন্ধ রাখে। পারাপারের ট্রলার বাজার ঘাটে পার হয়। ঠিকাদার ঘাট সংস্কারে পাথরের পরিবর্তে ইটের নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করে। এবং সিমেন্ট কম ব্যবহার করার দরুণ ঢালাই শক্ত বা টেকসই হয়নি। যে কারণে ঘাটের ঢালাই কাজ ভেঙ্গে ভেঙ্গে পানিতে পড়ে গেছে। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের পরিবর্তে নানুষের দুর্ভোগ আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। মালামালসহ লোকজনের নামা-ওঠা আরো কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাল, আটা, ময়দা, ডাল, গবাদী পশু ও হাস-মুরগীর খাবার পারাপারের সময় বস্তা ছিড়ে মালামাল বিনষ্ট হচ্ছে। মালামাল গড়িয়ে পড়ছে নদীতে। কারণ এতই খাড়া যে পারাপারের অনোপযোগী ও চরম ঝুঁকিপূর্ণ।
বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায়, খুলনা জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত এ ঘাট মেরামতের নামে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ এনে ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে যেনতেনভাবে কাজ করে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ পারাপার যাত্রীসহ ঘাট মাঝিদের। জনগণের পারাপারে দুর্ভোগ লাঘব করার নামে সরকারি অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ আশু তদন্তের দাবী সর্বস্তরের মানুষের।
এ ব্যাপারে কথা হয় দিঘলিয়ার ফরমাইশখানা গ্রামের শেখ ফরহাদ হোসেনের সাথে। তিনি বিটিসি নিউজকে বলেন, ঘাটের ঠিকাদার ও খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান কর্মকর্তা যোগসাজশে ভোগিজোগি কাজ করে সিংহভাগ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা হয় দিঘলিয়ার সুগন্ধী গ্রামের তরুণ সমাজ সেবক মোল্লা মাকসুদুল ইসলামের সাথে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বিটিসি নিউজকে জানান, দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাটটি হয়েছে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে একটা মহলের ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবকে পুঁজি করে রীতিমতো ফায়দা লুটার প্রতিযোগিতা।
দিঘলিয়া উপজেলা সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর মিছিলের উপদেষ্টা দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মমতাজ শিরীন ময়না ও আলোর মিছিলের প্রধান উপদেষ্টা বলিষ্ঠ সামাজিক নেতৃত্ব ও সাবেক ছাত্র নেতা জিএম আকরাম এ প্রতিবেদককে জানান, দেয়াড়া-দৌলতপুর বাজার খেয়াঘাট হয়েছে মুলতঃ এ দিঘলিয়া জনপদের মানুষের জন্য মরণ ফাঁদ। আমরা এ এলাকার জনগণকে সাথে নিয়ে এ ঘাটের নানা অনিয়ম, জনদুর্ভোগ ও সমস্যা ও দ্রুত ঘাটটি লঞ্চ ঘাটে স্থানান্তিতের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীসহ সকল দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদানসহ মানববন্ধন ও গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি সৈয়দ আবুল কাসেম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.