দেবরের পুরুষাঙ্গ কর্তন : ভাবির বিরুদ্ধে চার্জশিট

ক্রাইম (ঢাকা) রিপোর্টার: সামিউল নামে এক যুববকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে পুরুষাঙ্গ কর্তন করেন ফাতেমা আক্তার সুরমা। ভুক্তভোগী সামিউল সম্পর্কে সুরমার দেবর হয়। এই ঘটনায় হত্যার উদ্দেশ্যে দেবরের পুরুষাঙ্গ কর্তনের অভিযোগে করা মামলায় সুমার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত ৩ এপ্রিল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক অমোল কৃষ্ণ দে ১৪ জনকে সাক্ষী করে চার্জশিট দাখিল করেন। এছাড়াও মামলাটির চার্জশিট গ্রহণের জন্য আগামী ২৮ জুলাই দিন ধার্য রয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার বাদীর ছোট ভাই ভুক্তভোগী সামিউল স্টিলের প্লেনসিটের দোকানে চাকরি করেন। তিনি তার বেতনের টাকা ভাবি ফাতেমার কাছে জমা রাখতেন।
গত বছরের ৯ নভেম্বর সামিউল কেরানীগঞ্জের বাসা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হলে আসামী ফাতেমা তাকে ফোন দিয়ে জানান, তিনি বঙ্গবাজারে কেনাকাটা করে পীর ইয়ামেনি মার্কেটের সামনে যাবে। সেখানে ভুক্তভোগী সামিউলকে তার জমানো টাকা ফেরত দেবে। এরপর ভুক্তভোগী সামিউল সেই টাকা নেয়ার জন্য পীর ইয়ামেনি মার্কেটের সামনে যান। তখন আসামি তাকে বলেন, রাস্তায় বসে তো পাঁচ লাখ টাকা দেয়া ঠিক হবে না।
এরপর ভুক্তভোগী সামিউলকে আসামী ফাতেমা পীর ইয়ামেনি মার্কেটের আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান। এ সময় ভুক্তভোগী সামিউলকে তিনি চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করেন। তারপর তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পুরুষাঙ্গের মাথা কেটে ফেলেন। এতে তার পুরা শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায়।
তখন ফাতেমা ভুক্তভোগী সামিউলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পুরুষাঙ্গের কাটা অংশ দেখিয়ে বলে, বিয়ে করবি? তোর বিয়ের স্বাদ মিটিয়ে দিয়েছি। এ সময় আসামি ফাতেমা ভুক্তভোগী সামিউলকে বিষয়টি গোপন রাখতে হুমকি দেন। এরপর ফাতেমা তার অজ্ঞাত দুই-তিনজন সহযোগীকে নিয়ে সামিউলকে সিএনজি করে ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা না হওয়ায় তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেও চিকিৎসা না হওয়ায় সর্বশেষ আল মানার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
এদিকে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ভুক্তভোগীর বড় ভাই বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর আসামি ফাতেমা আক্তার সুমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর গত ২৩ ডিসেম্বর আসামি ফাতেমা আক্তার সুমাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন শাহবাহ থানার উপপরিদর্শক অমোল কৃষ্ণ দে। আসামী পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুইয়ার আদালত আসামী ফাতেমার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২৬ ডিসেম্বর দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামী ফাতেমা আক্তার সুমাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ক্রাইম (ঢাকা) রিপোর্টার মো: রুহুল আমীন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.