দেগঙ্গায় পর পর গুলি কেন্দ্রীয় বাহিনীর

(দেগঙ্গায় পর পর গুলি কেন্দ্রীয় বাহিনীর–ছবি: প্রতিনিধির)
কলকাতা প্রতিনিধি: শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় সুর চড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ক্ষমতায় আসা মাত্রই নিজে দায়িত্বে থেকে ওই ঘটনার তদন্ত করাবেন তিনি। এমনকী সিআইএসএফ থেকে তিনি সেইসব নামও বের করে নিয়েছেন, যারা গুলি চালিয়েছে। যদিও ইতিমধ্যেই একটি অডিও ক্লিপ সামনে এনে মমতার বিরুদ্ধে ওই ঘটনায় মেরুকরণের অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের পঞ্চম দফার ভোটেও গুলি চালাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে, তা কাউকে লক্ষ্য করে নয়, শুন্যে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন। রিপোর্ট পাওয়ার পর কমিশনের দাবি, বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে কোনও গুলি চলেনি।
ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দেগঙ্গার ২১৫ নম্বর বুথের প্রায় ৫০০ মিটার দূরে একটি আমবাগানের মধ্যে এলাকারই কয়েকজন বসে গল্প করছিল। তাঁদের কোনও কথা না শুনেই সেখানে প্রায় চার-পাঁচ রাউন্ড শূন্য গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকী পুলিশ গিয়ে তাঁদের মারধরও করেছে বলে অভিযোগ। তাতে প্রায় সাতজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। ঘটনার পরপরই বুথের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
অপরদিকে, দেগঙ্গায় ৮১ নম্বর বুথের সোহাইস্বেতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় উত্তেজনাও রয়েছে। আবার নদিয়ার শান্তিপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষজন। বিশেষত মহিলারা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে, খণ্ডঘোষের ২০ নম্বর সেক্টর অফিসার অর্পণ রায়ের বিরুদ্ধে BJP-কে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল।
অপরদিকে, রাজারহাট-নিউটাউন বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের এজেন্টের বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভয়ে বুথে যেতে চাইছেন না তৃণমূল বুথ এজেন্ট নন্দ দুলাল দাস। ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউন তারুলিয়া সেকেন্ড লেনে। নিউটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.