দেওয়ানগঞ্জে বন্যায় যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপরে, চোখ রাঙ্গাচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদ ও জিঞ্জিরাম নদী

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে বন্যা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) গত ২৪ ঘন্টায় দেওয়ানগঞ্জের যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বন্যায় উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যার কারণে উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫ ইউনিয়নের সিংহভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে কয়েক শ পরিবার বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে ও বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান নিয়েছেন বানভাসি পরিবার। এছাড়াও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে বন্যায় হাঁটু পানি হওয়ায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন বিভন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সেবা প্রত্যাশিরা।
বন্যার পানির প্রবল স্রোতে চিকাজানি ইউনিয়নের খোলাবাড়ি থেকে দেওয়ানগঞ্জ মন্ডল বাজার রাস্তা ও হাতিভাঙা ইউনিয়নের মহারানী রাস্তা ভেঙে উপজেলা সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যালয় গুলোতে পানি উঠে পড়েছে। তাই উপজেলার ১৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত বন্যার্তদের জন্য ১০ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স।
তিনি জানান, বন্যায় বিভিন্ন এলাকায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে সেসব রাস্তা গুলো সচল করতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে এলজিইডির কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দেওয়ানগঞ্জের বানভাসি মানুষের পাশে প্রশাসন।
তাই জেলা প্রশাসন থেকে শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। প্রয়োজন হলে বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
অপরদিকে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ ও জিঞ্জিরাম নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন ও মেরুরচর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত বন্যায় রূপ নিচ্ছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বকশীগঞ্জেও বড় ধরণের বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি জি এম ফাতিউল হাফিজ বাবু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.